শুক্র. মে ১০, ২০২৪

 নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

দুর্র্নীতির মামলায় কারাগারে আটক বাগেরহাট পৌরসভার মেয়রকে অসুস্থতার কারনে ১৫ দিনের জামিন দিল আদালত।
বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা খান হাবিবুর রহমান কারাগারে অসুস্থ থাকায় ১৫ দিনের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। বৃহষ্পতিবার সকালে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতের বিচারক জেলা জজ মোহা. রবিউল ইসলাম শুনানি শেষে হাবিবুর রহমানকে চিকিৎসা জন্য ১৫ দিনের জামিন মঞ্জুর করেন।
প্রায় দেড় মাস পরে পৌর মেয়র জামিন পেলেন।
দুদকের করা পৃথক দুটি অর্থ আতœসাতের দূর্নীতির মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান ও পৌর সভার সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিম আদালতে আতœসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সেই থেকে তিনি জেলা কারাগারে ছিলেন। খান হাবিবুর রহমান বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ক্রিড়া সংস্থার সাধারণ সসম্পাদক।
দুর্নীতির মামলার অপর আসামী পৌরসভার সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিম বাগেরহাট জেলা কারাগারে রয়েছেন।
এরআগে ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর দুদকের সমন্বিত খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক (এডি) তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে অর্থ আতœসাতের অভিযোগে মেয়র খান হাবিবুর রহমান, তৎকালিন সচিব রেজাউল করিমসহ পৌরসভার ১৮ কর্মচারির বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেন।
দুদকের আইনজীবী মিলন কুমার ব্যানার্জী সাংবাদিকদের বলেন, দুর্নীতির পৃথক দুটি মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান জেলা কারাগারে আটক ছিলেন। বৃহষ্পতিবার সকালে তার আইনজীবীরা আদালতে হাজির হয়ে বিচারককে তার শারীরিক অসুস্থতার কথা জানান। বিচারক আইনজীবীদের কাছ থেকে অসুস্থতার ডাক্তারি সনদপত্র দেখে (মানবিক কারনে) মেয়রের সুচিকিৎসার জন্য ১৫ দিনের জামিন মঞ্জুর করেন। ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের ২ নং দূর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারার মামলায় পৃথক দুটি মামলা করে দুদক। সেই মামলায় তিনি আদালতে আতœসমর্পণ করলে বিচারক তার জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠায়।
দুদকের সমন্বিত খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক (এডি) তরুণ কান্তি ঘোষ মামলার নথির বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান কোন নিয়মনীতি প্রতিপালন না করে অবৈধভাবে ১৭ জনকে পৌরসভার বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়ে এক কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার ৫৩ টাকা উত্তোলন করে আতœসাত করেছেন। এছাড়া ২০১৪ ও ২০১৫ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় পৌরসভার উন্নয়নের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডে দুই কোটি টাকা জমা করে। এই টাকা আবাহনী ক্লাব ও ডায়াবেটিস হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মানের জন্য ৫০ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেয়। পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান ও তৎকালিন সচিব মোহম্মদ রেজাউল করিম ভবন নির্মান না করে পরষ্পর যোগসাজসে ব্যাংক থেকে এক কোটি টাকা উত্তোলন করে আতœসাত করেন। ২০২০ সালে পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অণুসন্ধান করতে যেয়ে তার সত্যতা পায় দুদক। তাদের বিরুদ্ধে পরষ্পর যোগসাজসে সরকারের অর্থ আতœসাতের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের ২ নং দূর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়।

ap

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *