শুক্র. মে ১০, ২০২৪

 বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের কচুয়ায় পুলিশের উপর হামলা মামলার প্রধান আসামী জুয়েল ও তার এক সহযোগিকে অস্ত্র গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাচেলিয়ন (র‌্যাব-৬)। বুধবার গভীর রাতে পিরোজপুরের সদর উপজেলার কলাখালি গ্রামে অভিযান চালিয়ে র‌্যাব তাদের গ্রেপ্তার করে। বৃহষ্পতিবার তাদের কচুয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে র‌্যাব-৬ এর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও আটটি গুলি উদ্ধার করা হয়।
গত রোববার রাতে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার সম্মানকাঠি গ্রামের গোড়াখাল এলাকায় স্থানীয় জুয়েল নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে ওঠা ছিনতাইয়ের অভিযোগ শুনতে যেয়ে এসআই রবিউল ইসলাম ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হন। এই হামলার ঘটনায় কচুয়া থানার এসআই মো. ফেরদৌস আলী বাদী হয়ে মো. মেহেদী হাসান ওরফে জুয়েল শেখকে প্রধান আসামী করে আরও অজ্ঞাত ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
এসআই রবিউল ইসলাম বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
মো. মেহেদী হাসান ওরফে জুয়েল শেখ (২৭) কচুয়া উপজেলার সম্মানকাঠি গ্রামের ইতরুপ আলী শেখের ছেলে। তার সহযোগি মো. রুবেল মোল্লা (২৮) কচুয়া উপজেলার চরসোনাকুড় গ্রামের মহসিন মোল্লার ছেলে।
রবিউল ইসলাম কচুয়ায় থানার এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
র‌্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার আল আসাদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি বাগেরহাটের কচুয়া থানার এসআই রবিউল ইসলামের উপর সন্ত্রাসী হয়। ওই হামলার ঘটনায় মেহেদী হাসান ওরফে জুয়েলের জড়িত থাকার অভিযোগে একটি মামলা হয়। ওই মামলার অভিযোগ পেয়ে তাকে ধরতে র‌্যাব অভিযানে নামে। বুধবার রাতে গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে পিরোজপুরের সদর উপজেলার কলাখালি গ্রামে অভিযান চালিয়ে র‌্যাব দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও আটটি গুলি উদ্ধার করা হয়। জুয়েলের বিরুদ্ধে খুনের মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। বৃহষ্পতিবার তাদের কচুয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।

সম্প্রতি কচুয়া উপজেলার সম্মানকাঠি এলাকায় একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ওই ছিনতাইয়ের ঘটনার ভিকটিম সম্মানকাঠি গ্রামের জুয়েল শেখ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে। অভিযোগ পেয়ে রোববার রাত নয়টার দিকে কচুয়া থানার এসআই রবিউল ইসলাম তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ওই এলাকায় যেয়ে জুয়েলকে পেয়ে তার সাথে কথা বলা শুরু করলে তাদের মধ্যে কথাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জুয়েল ক্ষুব্দ হয়ে পাশের একটি বাড়ি থেকে ধারালো দা এনে রবিউলকে এলোপাথাড়ি কোপ দিয়ে ফেলে রেখে দৌড়ে পালিয়ে যায় বলে পুলিশের বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) মো. রাসেলুর রহমান জানিয়েছিলেন।#ap

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *