প্রতিনিধি বাগেরহাট।
ঘুর্নিঝড় সিত্রাংএর প্রভাব বাগেরহাট জেলায় ১ হাজার হেক্টর ফসল পানিতে নিমজ্জিত,জলাবদ্ধতায় আটকে আছে ৪ শতাধিক পরিবার,
ঘুর্নিঝড় সিত্রাং এর প্রভাব কেটে গেলেও দুই দিনের টানা বৃষ্টি ও ঝড়ের প্রভাবে আসা পানির চাপে বাগেরহাট জেলায় ১ হাজারের বেশী হেক্টক জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। পানি নিষ্কাষন ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছে প্রায় ৪ শত পরিবার। দুইদিন ধরে বাগেরহাট জেলায় পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ নাই। জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সুত্রে প্রকাশ, রবিবার রাত থেকে ঘুর্নিঝড় সিত্রাং এর সুত্রপাতে বাগেরহাটে টানা বৃষ্টিপাত শুরু হয়। আর বৃষ্টির সাথে পানির চাপ বৃদ্দি পাওয়ায় বাগেরহাট জেলার নিন্মাঞ্চলের খেটে খাওয়া ও সাধারন মানুষ চরম বিপাকে পড়ে। সোমবার দিনব্যাপী কেহ ঘরের বাইরে আসতে পারে নাই। এদিকে বিরামহীন বৃষ্টিতে গাছের গোড়া নরম হওয়ায় সোমবার সন্ধ্যায় বাতাসের তোড়ে অসংখ্য গাছপালা উপড়ে ও ভেঙ্গে পড়ে। এতে করে বাগেরহাট জেলা শহরের বিদ্যুতসহ পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম পারভেজ আলম জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিদ্যুৎ কর্মীরা মাঠে কাজ করছে বিকেল নাগাদ বিদ্যুত সংযোগ স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাগেরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ -পরিচালক মোঃ আজিজুর রহমান বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পরিসংখ্যান কার্যক্রম শুরু করেছি। ইতোমধ্যে তথ্য মতে ১ হাজার ৩৮৫ হেক্টর জমির চলমান ধান ও সবজী পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। তবে পানি নেমে গেলে তেমন একট ক্ষতি হবে না বলে আশা করছি। বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আজিজুর রহমান বলেন
বিরামহীন বৃষ্টি ও পানির চাপে বাগেরহাট জেলা সদরের মাঝি ডাঙ্গা এলাকাসহ নি¤œাঞ্চলের কয়েকশত পরিবার জলবদ্দতার শিকার হয়েছেন। জলাবদ্ধতা নিরসনের চেষ্টা চলছে। এছাড়া তেমন কোন ক্ষতি বাগেরহাট জেলায় হয়নি ।az