শুক্র. এপ্রি ২৬, ২০২৪

পাবনার সুজানগরে বেড়েছে বাণিজ্যিকভিত্তিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ। বিশেষ করে উপজেলার চরাঞ্চলের জমিতে এ ফুলের চাষ বেশি হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চরবিশ্বনাথপুর, চরভবানীপুর, চরসুজানগর, শ্যামনগর, ভাটাপাড়া এবং চরখলিলপুরে রয়েছে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল। ওই সব চরাঞ্চলের জমিতে ধান, পাটসহ অন্যান্য ফসল তেমন ভালো হয়না। ওই সকল জমিতে ধান, পাট আবাদ করে লোকসান গুণতে হয় চাষিদের। আর লোকসান পুষিয়ে নিতে ওই জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষ করেন। চরাঞ্চলের কৃষক ছাড়াও উপজেলার অন্যান্য এলাকার কৃষকরাও কম-বেশি সূর্যমুখী ফুল চাষ করে থাকেন। তবে গেল বছর ১০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষ করা হলেও এবার ১৫ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে।

উপজেলার চরসুজানগর গ্রামের কৃষক বাদশা শেখ বলেন, সূর্যমুখী ফুলচাষে উৎপাদন খরচ কম। তাছাড়া ফলন হয় বেশ ভালো। সে কারণে লাভ বেশী হয়। অনেক চাষি সূর্যমুখী ফুল চাষ করে তাদের সংসারে সচ্ছলতা পেয়েছেন বলেও তিনি জানান।

উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের কয়েকজন কৃষক বলেন, একবিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলচাষ করতে সার-বীজসহ উৎপাদন খরচ হয় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। আর প্রতিবিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের বীজ উৎপাদন হয় ৭ থেকে ৮ মণ। বর্তমানে ভোজ্যতেলের দর বৃদ্ধি পাওয়ায় হাট-বাজারে প্রতিমণ সূর্যমুখী ফুলের বীজ বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার টাকা। এতে চাষির লাভ হচ্ছে উৎপাদন খরচের চেয়ে দ্বিগুণ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম বলেন, সূর্যমুখী ফুলচাষে উৎপাদন খরচের চেয়ে লাভ বেশি। সে কারণে উপজেলার কৃষকরা দিনের পর দিন সূর্যমুখী ফুলচাষে আগ্রহী হচ্ছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগও তাদের সহযোগিতা করছে।

an.bg

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *