সোম. মে ২০, ২০২৪

প্রতিনিধি শরণখোলা ঃ

বাগেরহাটের শরণখােলা উপজেলায় আইন অমান্য করে সুন্দরবন সংলগ্ন গ্রামে করাত কল পরিচালনার অপরাধে মােঃ নুরুল হক আকন নামর এক ব্যাক্তিকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত। সােমবার বাগেরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালত-১ (বন আদালত) এর বিচারক সমির মল্লিক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানাের আদেশ দেন।
মামলা সূত্র জানাগেছে, শরণখােলা উপজেলার বকুলতলা গ্রামের আঃ রশিদ আকনের পুত্র মােঃ নুরুল হক আকন ওরফে নুরুল হক আড়ৎদার বন আইন অমান্য করে বন সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে করাত কল স্থাপন করে কাঠ চেরাই করে আসছিল। বিষয়টি প্রশাসন ও বন বিভাগের নজরে আসলে গত ৩১ /১২/২০১৯ তারিখ শরণখােলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মােস্তফা শাহিন ও সহকারী বন সংরক্ষক মােঃ জয়নাল আবেদীন মােবাইল কাের্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করে করাত কল বন্ধ করে দেন। এব্যাপারে নুরুল হক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেট আদালতে লাইসেন্স বিহীন আর করাত কল পরিচালনা করবেন না মর্মে মুসলেকা প্রদান করেন। কিন্ত তিনি পরবর্তীতে আবারাে বন সংলগ্ন ওই গ্রামে অবৈধভাবে দুইটি করাত কল স্থাপন করে কাঠ চেরাই করে আসছেন।
এভাবে আইন অমান্য করার কারনে বন বিভাগ সি-(বন) ২০/২০২০ এবং সি-(বন) ২১/২০২০ মামলা রজু করে। ওই মামলায় সােমবার আদালতে হাজির হলে তার জামিন না মঞ্জুর করা হয়।
এ ব্যাপারে শরণখােলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মােঃ জয়নাল আবেদীন বলেন সুন্দরবন থেকে ১০ কিলামিটারের মধ্যে কােন প্রকার মিল, কল-কারখানা স্থাপন করা সম্পূর্ণ বে-আইনী। কিন্ত নুরুল হক আড়ৎদার মাত্র ৩/৪ কিলামিটারের মধ্যে অবৈধভাবে করাত কল স্থাপন করেছেন। তাই বন আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মােস্তফা শাহিন বলেন , মােবাইল কাের্টের মাধ্যমে করাত কলগুলাে বন্ধ করে দেয়ার পরও আইন অমান্য করে তিনি করাত কল চালিয়ে আসছিলেন। তাই বন বিভাগের মামলায় তার জামিন না মঞ্জুর হয়েছে। অবৈধ করাত কলের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *