বুধ. মে ৮, ২০২৪

বাগেরহাট প্রতিনিধি,
বাগেরহাটের রামপালে সন্ত্রাসী হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) রাতে রামপাল উপজেলার মল্লিকেরবের ইউনিয়নের বড় সন্নাসী বাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে সুমন হাওলাদার (৩৫) নামের এক মৎস্য ব্যবসায়ীকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় ঢাকা শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতরা হলেন, মজনু হাওলাদার (৪৫) ও মনি হাওলাদার (৪০) তাদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতরা সবাই মল্লিকেরবের ইউনিয়নের সন্নাসী গ্রামের বাসিন্দা। এদিকে এ হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বুধবার বিকেলে বড়সন্নাসী বাজার এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে এলাকার শত শত মানুষ অংশ গ্রহণ করে। তারা হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
আহত মজনু হাওলাদার বলেন, রাতে বড়সন্নাসী বাজার থেকে মোটরসাইকেল যোগে আমি, আমার ভাইপো সুমন হাওলাদার ও মনি হাওলাদার আমাদের মৎস্য ঘেরে যাচ্ছিলাম। বাজার থেকে কিছুদূর সামনে এগোলেই পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা একই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ২০-৩০জন আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। তাদের মারপিটের এক পর্যায়ে জীবন বাঁচাতে আমি ও মনি দৌড়ে পালিয়ে যাই। এসময় তারা সুমনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। হামলাকারীরা আমার মোটরসাইকেলটিকে ভাংচুর করে। সুমনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে দিন কাটছে তার। আমরা এই ন্যাক্তার জনক হামলার বিচার চাই।
মল্লিকেরবের ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল রাড়ী বলেন, রাতে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে এর সাথে এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীরা জড়িত। কিছুদিন আগেও গাঁজা গাছসহ ধরা পরেছে হামলাকারীদের কেউ কেউ। এই সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতনে গ্রামবাসি অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। আমরা এলাকাবাসি ওই সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার পূর্বক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
মল্লিকেরবের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল তালুকদার বলেন, সুমন খুবই শান্ত একটি ছেলে। তার উপরে এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবী ও সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। অনতিবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
মল্লিকেরবের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সজিব হোসেন তালুকদার বলেন, মৎস্য ঘের নিয়ে এলাকার বিএনপির লোকদের সাথে সুমন ও মজনুদের বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জেরেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ সামসুদ্দীন বলেন, একটি মারধরের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।#

mn

মামুন আহমেদ

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *