শুক্র. এপ্রি ২৬, ২০২৪

 

বাগেরহাট প্রতিনিধি।

রাতে নিরাপত্তাহীন কমিউনিটি ক্লিনিক,গত দু মাসে বাগেরহাট সদর উপজেলার তিনটি ক্লিনিকে চুরির ঘটনা ঘটেছে। অজ্ঞাত চোরেরা রাতের অন্ধকারে জানালার গ্রিল ভেঙ্গে ও কেটে ভিতরে প্রবেশ করে সৌর বিদ্যুতের মুল্যবান সোলার ব্যাটারী, নগদ টাকাসহ ক্লিনিক্যাল সামগ্রী নিয়ে যায়। রাতে কমিউনিটি ক্লিনিকে কোন নিরাপত্তা ব্যাবস্থা না থাকায় প্রচন্ড শীতের সময় চোরেরা নির্বিঘ্নে চুরির সুযোগ পায় বলে এলাকাবাসী মন্তব্য করছে। সর্বশেষ গত ১ জানুয়ারী দিবাগত রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার মুক্ষাইট কমিউনিটি ক্লিনিকের জানালার গ্রিল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে সৌর বিদ্যুতের ব্যাটারী ও আলমীরার তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। কয়েকদিন আগে পিসি ডেমা কমিউনিটি ক্লিনিক ও চিতলী বৈটপুর কমিউনিটি ক্লিনিকেও একই পদ্ধতিতে চুরি সংগঠিত হয়। মুক্ষাইট কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মো: মিজানুর রহমান জানান,প্রতিদিনের ন্যায় বছরের প্রথম দিন ডিউটি শেষে ৩ টায় যথানিয়মে ক্লিনিক বন্ধ করে চলে যাই। পরের দিন অর্থাৎ সোমবার সকাল ৯ টায় ক্লিনিকে গিয়ে দেখতে পাই জানালার গ্রিল কাটা। তাৎক্ষনিক ক্লিনিক পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য আসলাম কাজী টুটুল ও সহ সভাপতি ইউপি সদস্যা মাহমুদা আক্তারকে ফোন দিয়ে আনি। ভিতরে ঢুকে দেখি আলমারীর তালা ভাংগা। আলমীরার ভিতরে ড্রয়ারে রাখা ৩৬শ টাকা নাই। পাশের রুমে রাখা সৌর বিদ্যুতের ব্যাটারী নাই। যার আনুমানিক মূল্য ২২ হাজার টাকা। বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তাকে অবহিত করি। উপজেলা স্বাস্থ্য অফিস থেকে ক্লিনিক পরিদর্শনের পর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।

কিছুদিন আগে চুরি হওয়া বৈটপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি অসিম দাস বলেন, আমাদের ডিউটি ৩ টা পর্যন্ত। আমরা ডিউটি শেষে যথা নিয়মে ক্লিনিক বন্ধ করে বাসায় যাই আবার পরের দিন সকাল ৯ টায় ক্লিনিকে আসি। এর মাঝের সময় বিশেষ করে রাতে ক্লিনিকটি দেখভালেরতো কেউ নেই। রাতেতো আর কেউ আলাদা করে পাহারা দেয়না। তাহলে এহেন চুরি ঠেকাবো কিভাবে। পিসি ডেমা কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএিচসিপি নাসরিন আক্তার বলেন, কিছুদিন আগে তার ক্লিনিকটিতে চুরি হয়েছে। ক্লিনিক ভবনের জানালা দরজা মজবুত নয়। মজবুত সীমানা প্রাচীর ও গেট না থাকায় রাতের অন্ধকারে চোরেরা সহজেই ভিতরে ঢুকতে পারে।

বাগেরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: প্রদীপ কুমার বকসী বলেন, গত কয়েক মাসে আমাদের কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিকে চুরি হয়েছে। এটা খুবই দু:খজনক। আমি অতি সত্তর প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি যাতে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যাবস্থা করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য অফিস থেকে চুরি হওয়া ক্লিনিকগুলো পরিদর্শন করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এখনই ব্যাবস্থা না নিলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন এই কর্মকর্তা।

 

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *