ডেঙ্গু সনাক্তের কিটস সল্পতায়, বিপাকে রোগী ও স্বজনরা
প্রতিনিধি বাগেরহাট,
বাগেরহাটে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২ জন। এর মধ্যে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯ জন আর ফকিরহাট উপজেলায় ভর্তি হয়েছেন ৩ জন। এছাড়া শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ফকিরহাট উপজেলার আড়ুয়াডাঙ্গ গ্রামে শাহবুল সরদার (৪৫) নামের এক ব্যাক্তি মারা গেছেন। এছাড়া গত জুলাই ও আগষ্ট মাসে ফকিরহাট উপজেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও দুই জন। এনিয়ে ফকিরহাট উপজেলায় গত তিনমাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডাঃ জালাল উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জেলার ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও ফকিরহাট উপজেলায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি কিছুটা খারাপ হয়েছে। এ উপজেলায় তিনমাসে তিনজন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া জুন থেকে এখন পর্যন্ত ফকিরহাটে ১৭৯ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
অপরদিকে, ফকিরহাট হাসপাতালের পরিসংখ্যান বিভাগে সূত্রে জানা যায়, গত ৭ দিনে শুধুমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউট ডোরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ২ হাজার ৮৩৯ জন রোগী এবং জরুরী বিভাগে ৪২৫জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের বেশির ভাগ রোগী জ¦রসহ গায়ে ব্যাথার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। এছাড়া বেশ কয়েকটি বেসরকারি ক্লিনিক, কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতিদিন শতাধিক জ¦রের রোগী আসেন বলে জানা গেছে। এত বিপুল সংখ্যক রোগীর ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য কিটস সল্পতায় হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা বিপাকে পরছেন। এমন পরিস্থিতিতে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারিভাবে ডেঙ্গু পরীক্ষার পর্যাপ্ত কিটস সরবারহের দাবী জানিয়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
ফকিরহাট হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত জুলাই মাসে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য মাত্র ৮০টি ও আগষ্ট মাসে ৮০টি কিটস সরবরাহ করা হয়েছিল যা ৩-৪ দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার প্রয়োজনীয় কিটস সরবরাহের জন্য চাহিদাপত্র দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শিশির বসু বলেন, ডেঙ্গু শনাক্তের মাত্র ৬ থেকে ৭ ভাগ রোগী জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। উপজেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। বাইরের ক্লিনিক থেকে ডেঙ্গু পরীক্ষা করার পর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। হাসতাপালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে রোগী সঙ্কুলন না হওয়ায় জেনারেল বেডেও ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শতকরা ৯০ জন রোগী বহিঃবিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি অবস্থান করে চিকিৎসা নিচ্ছেন। mn