রবি. এপ্রি ২৮, ২০২৪

বাগেরহাট প্রতিনিধি :
বাগেরহাটে একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের চামড়াসহ এক চোরা শিকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পূর্ব সুন্দবন বিভাগ ও র‌্যার- ৮ সদস্যরা মঙ্গলবার রাতে জেলার শরণখোলার উপজেলা বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে একটি পূর্ন বয়স্ক বাঘের চামড়াসহ মো. গাউস ফকির নামে এই চোরা শিকারিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত চোরা শিকারী বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার দক্ষিন সাউথখালী গ্রামের রশিদ ফকিরের ছেলে।
বুধবার দুপুরে বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পূর্ব সুন্দবন বিভাগ ও র‌্যার- ৮ যৌথ ভাবে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানায়। এরপর বাঘ হত্যায় বন আইনে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারকৃত চোরা শিকারীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানায়, পেশাদার চোরা শিকারী গাউস ফকির সুন্দরবন থেকে একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার হত্যা করে চামড়া নিয়ে তা বিক্রির জন্য ক্রেতার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে, এমন খবর আসে সুন্দরবন বিভাগের কাছে। বিশ^স্ত সূত্রের এখবর নিশ্চিত হবার পর র‌্যাব- ৮ সহযোগীতা নিয়ে ক্রেতা সেজে গোপনে শনিবার থেকে ৪ দিন ধরে গোপনে চোরা শিকারী গাউস ফকিরের সাথে যেগিাযোগ করা হয়। পরে বাঘের চামড়াটির ১৭ লাখ থেকে দরদাম ঠিক হয় ১৩ লাখ টাকা। চোরা শিকারী গাউস ফকিরকে বাঘের চামড়া হস্তান্তরের সময় পুরো টাকা পরিশোধ করা হবে বলে তাকে আশ^স্ত করা হয়। সেমতে চোরা শিকারী গাউস ফকির রাত ৮টার দিকে একটি বস্তায় ভরে বাঘের চামড়াসহ শরণখোলা বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন তেলের পাম্পের কাছে জলিলের ব্রিজের নিচে আসে। এসময়ে সুন্দরবন বিবাগ ও র‌্যাবের যৌথ টিমের সদস্যরা চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে বস্তা ভর্তি একটি বাঘের চামড়াসহ চোরা শিকারী গাউস ফকিরকে গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার হওয়া ৮ ফুট ১ ইঞ্চি লম্বা ও ৩ ফুট ১ ইঞ্চি চওড়া বাঘের চামড়াটি। বেশ কয়েক মাস আগে এই বাঘটি চোরা শিকারীরা হত্যা করে লবণ দিয়ে পলিথিনের বস্তায় ভরে রাখে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত চোরা শিকারী গাউস ফকির জানায়, সে কয়েক মাস আগে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা গ্রামের শহিদুল নামে অপর এক চোরা শিকারীকে সাথে নিয়ে চোরা বাজারে চামড়া বিক্রি করার জন্য পূর্ন বয়স্ক পুরুষ এই বাঘটি হত্যা করে। বন আইনে বাঘ হত্যা ও বন্যপ্রানীর চামড়া বেচাকনোয় জড়িত থাকার দায়ে গ্রেপ্তার চোরা শিকারী গাউস ফকিরের সবোর্চ্চ সাজা ১০ করাদন্ড ও ১৫ লাখ টাকা জরিমানা হবে বলে আশা করছে বন বিভাগ।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *