বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার চরসোনাকুড় আলিম মাদরাসা ও মাদরাসা সংলগ্ন এতিমখানা ব্যবস্থাপনা কমিটির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও নিয়োগ প্রদানে স্বজন প্রিতি অভিযোগ উঠেছে। অনিয়মের কারণে নিয়োগগ বাতিল ও পুনঃপরীক্ষা নেওয়ার জন্য মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেছেন এতিম খানার জমি দাতার সন্তান রফিকুল ইসলাম।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ১৭ অক্টোবর চরসোনাকুড় আলিম মাদরাসার কয়েকটি পদে নিয়োগগ পরীক্ষা হয়। যেখানে ওইদিনই নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল দেয়ার কথা থাকলেও ২১অক্টোবর একটি পদ ছাড়া অন্য পদের ফলাফল ঘোষনা করা হয়। ফলাফলে দেখাযায় আয়া পদে ব্যবস্থাপনা কমিটির অভিভাবক সদস্য মহাসেন সরদারের পুত্র বধু মোসাঃ তিন্নি খানমকে আয়া পদে, মহসেন সরদারের ভাতিজা আরিফুল ইসলামকে দপ্তরি পদে, সভাপতির ভাতিজা তরিকুল ইসলামকে হিসাব সহকারী পদে এবং মাদরাসার ভূমি দাতার পুত্র লাভলুকে নিরাপত্তা কর্মী পদে নিয়োগগ দেওয়া হয়। এতেই বোঝা যায় যে এখানে স্বজন প্রিতি ও নিয়োগগের জন্য মোটা অংকের টাকা গ্রহন করেছে।
এছাড়াও মাদরাসা সংলগ্ন চর সোনাকুড় এতিমখানায় এতিম না রেখে সরকারি অর্থ, সদস্যের চাদা ও এলাকার মৌসুমী চাদার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এতিমখানার ব্যবস্থাপনা কমিটির বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা জানান, ওই এতিম খানায় মাত্র ১০ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ৪ জন ছাত্র এতিম রয়েছে। অন্য শিক্ষার্থীরা টাকা দিয়ে থাকে এতিম খানায়। সরকারিভাবে বরাদ্দ ৩৬জন এতিম শিক্ষার্থীর জন্য বরাদ্দ অবশিষ্ট্য টাকা কমিটির লোকেরা ভাগ বাটোয়ারা করে খেয়ে ফেলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া এতিমখানায় এতিম নিবাসীদের থাকা, খাওয়া শিক্ষাসহ কম্পিউটার প্রশিক্ষনের ব্যবস্থার কথা কাগজপত্রে থাকলেও বাস্তবে সে ধরণের কোন ব্যবস্থা নেই। এমনকি ওই মাদরাসায়ও কম্পিটার প্রশিক্ষনের কোন ব্যবস্থা নেই।
এতিমখানা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মুহাঃ আলতাপ হোসাইন জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। এলাকার এক শ্রেনীর স্বার্থানেস্বী মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
চরসোনাকুড় আলিম মাদরাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ কালাম বলেন, নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। যারা নিয়োগ পায়নি তারা অপপ্রচার চালাবেই।