নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ২০ ফিসিং ট্রলার দুবার ডুবির ঘটনা ঘটেছে
এতে প্রায় দুই কোটি টাকার শুটকি মাছ নষ্ট
ফিসিং ট্রলার ডুবির এদূর্ঘটনায় শাহিনুর ও মোতাচ্ছির নামে দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ জেলেদের বাড়ী বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায়। শুক্রবার রাত ১০ টায় বঙ্গোপসাগরের দুবলার চর ৪৫ কিরোমিটার গভীর সাগরে এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে কোস্টগার্ডের দুটি জাহাজসহ দুবলার ১০০ ট্রলার উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা ফরেষ্ট ষ্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রহ্লাদ চন্দ্র রায় এবং দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুন্দরবন বিভাগ জানায়, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও গত নভেম্বর থেকে সুন্দরবনের দুবরার চরে শুরু হয়েছে শুঁটকী মাছ আহরণ মৌসুম। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে দুবলার চরের অস্থায়ী শুঁটকী পল্লীতে সামুদ্রিক মাছ ধরতে আসেন প্রায় ৩০ হাজার জেলে। এসব জেলেরা দুবলাসহ আটটি চরে অস্থায়ী বসতি গড়ে তোলেন। সেখানে থেকেই তারা বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরেন। শুক্রবারও মাছ ধরতে তারা সাগরে যান। কিন্তু হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে দুবলার চর ৪৫ কিরোমিটার গভীর সাগরে দূর্ঘটনার শিকার হয় ২০ টি ফিসিং ট্রলার। এসময় দুবলায় আটটি এবং তার পাশ্ববর্তী এলাকা আলোরকোল এলাকায় আরও ১২ টি ফিশিং ট্রলার ডুবে যায়। পরে অন্য ট্রলারের সাহায্যে ১৫৪ জেলে ফিরে আসতে পারলেও বাগেরহাটের রামপালের দূর্গাপুর গ্রামের মো. ইদ্রিসের ছেলে শাহিনুর ও ইসলামাবাদ গ্রামের মো. ছোট্টোর ছেলে মোতাচ্ছির নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানান দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান। নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে কোস্টগার্ডের দুটি জাহাজসহ দুবলার ১০০ ট্রলার উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। এরিপোর্ট পাঠানো পর্যন্ত নিখোঁজ দুই জেলের কোন সন্ধান মেলেনি।
এদিকে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় দুবলার চরের প্রায় দুই কোটি টাকার শুটকি মাছ নষ্ট হয়েছে বলেও জানিয়েছেন দুবলা ফরেষ্ট ক্যাম্পের ওসি প্রহ্লাদ চন্দ্র রায়।#rj