মঙ্গল. মে ১৪, ২০২৪

 বাগেরহাট প্রতিনিধি .
বাগেরহাট পৌরবাসীর দূর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ঝুকি মোকাবেলায় কাজ করবে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। জলবায়ু পরিবর্তণের ফলে গ্রাম ছেড়ে শহরে আসা বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠির আর্থসামাজিক উন্নয়য়ন ও শহরে জীবনে তাদের প্রভাব নিয়েও কাজ করা হবে। এর ফলে পৌরবাসির দূর্যোগ ও জলাবায়ু পরিবর্তন জনিত ঝুকি প্রশমিত হবে।
রবিবার (১১ জুন) দুপুরে বাগেরহাট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কোস্টাল সিটিস বাংলাদেশ নামের একটি প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় বক্তারা এসব তথ্য জানান।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বাগেরহাট ইউনিটের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও রেডক্রিসেন্ট বাগেরহাট ইউনিটের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান টুকু। সভায় আরও বক্তব্য দেন, খুলনা বিশ্ব বিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক সাধণ কুমার সরকার, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বুলবুল কবির, রেডক্রিসেন্ট বাগেরহাট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার নাজমুল কবির ঝিলাম, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির উপ-পরিচালক এসএম আক্তার, আইএফআরসি‘র ম্যানেজার জাহিদুল ইসলাম দিপু, বাগেরহাট পৌরসভার কাউন্সিলর তানিয়া খাতুন, আসমা আজাদ, আবুল হাশেম শিপন, রেজাউর রহমান মন্টু, খান আবুবকর সিদ্দিক, রেডক্রিসেন্টের সহকারি পরিচালক মোঃ শাহিনুর রহমান, ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মোঃ মনিরুল ইসলাম, প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, রেডক্রিসেন্ট বাগেরহাটের জেলা কর্মকর্তা মোঃ হান্নান, নির্বাহী সদস্য মীর জায়েসী আশরাফি জেমস, পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী টিএম রেজাউল করিমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজকরা জানান, দূর্যোগ প্রবন এলাকা বাগেরহাট ও সাতক্ষিরা পৌরসভার দূর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তেনের ঝুকি মোকাবেলায় কোস্টাল সিটিস বাংলাদেশ নামের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। আমেরিকান রেড ক্রসের আর্থিক সহায়তায় দুই পৌরসভার ৬টি ওয়ার্ডে ৩ বছর মেয়াদী এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এই সময়ে স্থানীয় সরকার, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যায়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি, স্থানীয় জলবায়ু গবেষক, জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্থ জনগণ সরাসরি এই প্রকল্প বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালন করবে। এই প্রকল্পের মূল উদ্যেশ্য হবে কারিগরি এজেন্সি ও একাডেমির সহযোগিতায় শহর পর্যায়ের বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ, বিশ্লেষন ও মূল্যায়নের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুকি উপলব্ধি এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীসহ অন্যান্য অংশীজনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। স্থানীয় অংশীজনদের মাধ্যমে শহরে বসবাককারী বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠির জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুকি হ্রাস করা। এসব কাজের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ কোটি টাকা।al

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *