বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় সোমবার (১২জুন) দুপুর জেলা প্রশাসক,বাগেরহাটের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জনাব হাফিজ আল-আসাদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য ও কনসেপ্ট পেপার পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন জেলা তথ্য অফিস,বাগেরহাটের উপপরিচিালক বিশ্বজিৎ শিকদার। বক্তব্য রাখেনসদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আকতারুজ্জামান বাচ্চু ,সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শওকত হোসেন,জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী এ্যাড.শরীফা খানম,সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন, সাবেক প্রফেসর বুলবুল কবীর সরকারি পিসি কলেজ বাগেরহাট। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝুমুর বালা,উপপরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,উপপরিচালক পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ,জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা,জেলা বাজার কর্মকর্তা ,জনকণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি বাবুল সরদার,৭১ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্তী,প্রধান শিক্ষক সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ,জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা ,তত্ত্বাবধায়ক ,২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল বাগেরহাট,চেয়ারম্যান ,জাতীয় মহিলা সংস্থা প্রমুখ । এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, পৌর কাউন্সিলর ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, সুশীল সমাজের সদস্যবৃন্দ, সংবাদকর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। মতবিনিময় সভায় ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের গুরুত্ব ও এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।সভাই বক্তরা বলেন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনরায় বিনির্মাণের জন্য কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিসহ এমন কোনো খাত নেই যেখানে পরিকল্পিত উদ্যোগ ও কার্যক্রম তিনি গ্রহণ করেননি। বর্তমান সময়ের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের প্রাথমিক সূচনা হয়েছিল তারই হাত ধরে। ১৯৭৫ সালের ১৪ই জুন বঙ্গবন্ধু রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় স্যাটেলাইটের ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। তারই দিকনির্দেশনায় বিজ্ঞান, প্রযুক্তিবিদ্যা ও কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে ড. মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদার নেতৃত্বে শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট প্রণয়ন করেন। গত বছর আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে চারটি ভিত্তি – ১. স্মার্ট সিটিজেন, ২. স্মার্ট ইকোনমি, ৩. স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও ৪. স্মার্ট সোসাইটির কথা উল্লেখ করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন যে আগামী ২০৪১ সাল নাগাদ আমাদের দেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ সে লক্ষ্যে আমাদের সকল দপ্তরকে দেশপ্রেম,নিষ্ঠা,পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সাথে একযোগে কাজ করতে হবে।#tt,o