বৃহঃ. মে ৯, ২০২৪

প্রতিনিধি  বাগেরহাট।
দলীয় প্রতিকে ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী নির্ধারন নিয়ে অভ্রন্তরীন কোন্দলের জের ধরে পরে স্থানীয় আধিপাত্য বিস্তার নিয়ে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়নের মাধাবকাটি এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে। ইটপাটকেল, দা ও লাঠি নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতের এ সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের ১০/১২জন আহত হয়েছেন। আহতদের বাগেরহাট সদর হাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্ত্তি করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে। পরিস্থিতি শুক্রবার সকাল থেকে থমথমে অবস্থায় রয়েছে। আহতদের মধ্যে নজরুল ইসলাম নামের একজন কে মাথায় জখম নিয়ে আশংকাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্ত্তি করা হয়েছে। স্থানীয় ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বর জাকির হোসেন ও তার দুইভাই ও শ্রমিক লীগ নেতা মাসুদ হাওলাদারসহ ৫ জনকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্ত্তি করা হয়েছে। বাকী আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতরা জানান, ধোপাখালী ইউনিয়নের উত্তর মাধবকাঠি এলাকার সাইদুর মাঝি ও স্থানীয় ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বর জাকির হোসেনের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনায় কথাকাটাকাটি নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউপি নির্বাচনের সময় থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ও তাদের সহযোগি সংগঠনের বিবাদমান দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। রাতের আধারে এলোপাতাড়ী ইট নিক্ষেপে উভয়পক্ষের ১০/১২ জন আহত হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় গজালিয়া ফাড়ি পুলিশ ও পরে কচুয়া থানা থেকে ওসির নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। রাতেই আহতদের হাসপাতালে ভর্ত্তি করা হয়। ধোপাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মকবুল হোসেন বলেন, সাইদুল মাঝি ও জাকির মেম্বরদের মধ্যে কথাকাটি নিয়ে সুত্রপাত হয়ে পরে নিজ দলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। রাতেই আমি জেলা আওয়ামী লীগ ও থানা পুলিশ কে জানাই। ধোপাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল মান্নান সরদার বলেন, দলের মধ্যে যে নোংরামী শুরু হয়েছে তা থানা ও জেলা পর্যায়ের দলীয় নেতারা এখই নিয়ন্ত্রন না করলে দলীয়ভাবে আমাদের জন্য খুব খারাপ পরিনতি হবে। বৃহস্পতিবার রাতে ধোপাখালী ইউনিয়নের মাধবকাটি এলাকায় সংঘর্ষের বিষয়ে কচুয়া থানার ওসি মোঃ মনিরুল ইসলাম শক্রবার সকালে জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যাই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। আহতরা চিকিৎসাধিন আছে। আর কোন পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ নিয়ে আসে নাই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এলাকায় অতিরিক্তি পুলিশ রাখা হয়েছে।কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

#

az

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *