বাগেরহাটে দীর্ঘ প্রতিক্ষিত এতিম ও বৃদ্ধ নিবাসের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্ভোদন
বাগেরহাট থেকে আজাদ রুহুল আমিন।
বাগেরহাট সদর উপজেলার এক সময়ের নিভৃত গায়ে গড়ে উঠেছে বেশরগাতি এতিম ও বৃদ্ধ নিবাস।শনিবার এক আড়ম্বরপূর্ণ হাজারো সুধী দর্শকের উপস্তিতিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ফিতা কেটে দীর্ঘ প্রতিক্ষিত স্বপ্ননীড়ের উদ্ভোদন করেন বাগেরহাটের কৃতি সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক জনাব ডঃ নকীব নসরুল্লাহ, অতিথি হিসেবে আমেরিকা প্রবাসী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডাকসু সদস্য এবং মাস্টার লতিফ ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্টপোষক জনাব রফিকুল ইসলাম জগলু ও লালমনিরহাটের জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব ফরিদুল ইসলাম বাবলু, গোটাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব শমসের আলী মোহন।এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মাধবকাঠি সিনিয়র কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মশিউর রহমান, পশ্চিম বাগ দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল ইসলাম কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাজী লিয়াকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বেগ শামীম আহসান, এতিমখানার সভাপতি শেখ সাজ্জাদ হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ব্যংকের সাবেক কর্মকর্তা আলহাজ্ব হেমায়েত উল্লাহ,সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন শেখ সাজাহান আলী সহ বিভিন্ন বক্তারা আলোকপাত করেন,এই এলাকায় স্বপ্ননীড়ের অন্যান্য প্রকল্প নির্মানাধীন বিশাল আধুনিক মসজিদ যেখানে একসাথে দেড় হাজার মুসল্লী নামাজ আদায় করতে পারবেন।কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেখানে দক্ষ অভিজ্ঞ শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে, আগ্রহীদের যোগাযোগ করতে আহবান করা হয়।মহিলাদের মসজিদ শিশুদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, খেলার মাঠ সহ অন্যান্য সুযোগ সম্বলিত প্রতিষ্ঠান নির্মান কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান পৃষ্টপোষক রফিকুল ইসলাম জগলু এলাকা সমুহ প্রধান অতিথি সহ আমন্ত্রিত অতিথিদের ঘুরে ঘুরে প্রকল্পের কাজ দেখান এবং সাংবাদিকদের বিফ্রিং করেন।এই প্রকল্পের অন্যতম কাজের তদারকি অভিজ্ঞ সাবেক সেনা আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যতে তার বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করা হয়।আপাতত এই শিশু বৃদ্ধ নিবাসে ১৭০ জনের ঠাই মিলবে এটি ৩০০ শয্যা করার পরিকল্পনার কথা জনাব জগলু জানান।বাগেরহাট জেলা সহ আশপাশের জেলার অন্যতম বৃহত অবহেলিত জনগোষ্ঠীর কল্যানে এতো বড় প্রতিষ্ঠান এটি। যেখানে একসময় ছিলনা শিক্ষা, ছিলনা রাস্তা কার্লভাট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ সেখানটা ব্যপক কর্মচাঞ্চল্যতায় পরিপূর্ণতা পেতে শুরু করেছে।এই এলাকার এক আলোকিত মানুষ গড়ার মহান কারিগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মরহুম লতিফ মাস্টার নামাকরনে একটি ফাউন্ডেশন গড়ে উঠে।বাংলাদেশের সিলেটের ভয়াবহ বন্যা কবলিত বানভাসি দুঃস্থ মানুষের পাশে দাড়াতে সিলেটে ব্যাপক ত্রানসামগ্রী নিয়ে ছুটে চলে এই ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ও একঝাঁক স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। এছাড়াও বাংলাদেশের বড় দুর্যোগ করোনা মোকাবিলায় ওষুধ খাবার পথ্য স্যানিটাইজেশন সামগ্রী মাস্ক হাজার হাজার সাধারণ মানুষের কাছে পৌছে দিয়েই ক্ষ্যন্ত হয়নি তারা ঘরে ঘরে দু”বছর ও পবিত্র রমজান উপলক্ষে রোজা রাখতে বিপুল পরিমাণ খাদ্য সহায়তা শীত বস্ত্র ইফতার সামগ্রী ও ইদ পালনে গরীব দুঃস্থদের মুখে হাসি ফুটাতে নগদ অর্থ এবং যে সকল শিক্ষার্থী বই কিনতে সামর্থ্য নয় তাদের বিনামুল্যে পুস্তক বেতন স্কলারশিপ সহ নানাবিধ কল্যানমুখী কাজে বাগেরহাটের লতিফ মাস্টার ফাউন্ডেশন যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহনে এগিয়ে চলেছে।মানবতার মানবিকতা জানান দিতে এই ফাউন্ডেশনের অগ্রযাত্রায় এলাকার মানুষ বিনা মুল্যে জায়গা দান ও অর্থ সহায়তা প্রদান করে বিরল দৃষ্টান্ত ও ইতিহাসের নজীর রাখতে যে ভুমিকা তার ভুয়সী প্রশংসা করেন আমেরিকা প্রবাসী রফিকুল ইসলাম জগলু। পাশাপাশি সমাজের অনেক বিত্তশালীরাও এগিয়ে আসায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব ফরিদুল ইসলাম বাবলু।কয়েক হাজার মানুষের ঢল নামে আজকের এই মাহেন্দ্রক্ষণে। সেখানে আলোচনা সভা ও বিশেষ প্রার্থনা এবং ফাস্টফুড বিতরণ করা হয়।বাগেরহাটের সদর উপজেলার প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ম্যনেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্তিত থেকে এই এলাকায় এতোবড় স্বপ্ননীড়ের কার্যক্রম যেন তাদের স্বপ্ন দেখায়নি বাস্তবে রুপ পেতে চলেছে এর অন্যতম পুরোধা আমেরিকা প্রবাসী রফিকুল ইসলাম জগলু, ফরিদুল ইসলাম সহ মরহুম লতিফ মাস্টার পরিবারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
Leave a Reply