বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটে জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র দাখিল ,
বাগেরহাটে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামন টুকু মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। দলীয় মনোনিত প্রার্থী হিসেবে বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী নিয়ে বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের কাছে এই মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। এছাড়া সদস্য পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করা হয়েছে ১৪টি। তারা হলেন মনিরুজ্জাম ঝমুর,কাজী জাহিদ সরোয়ার টিটু, আব্দুর জলিল, তাজ উদ্দিন আহম্মেদ, এস এম ওলিউজাজামান, শেখ আব্দুর রাজ্জাক, মোহন আলী বিশ^াস, সরদার মাসুদুর রহমান, অসিত বরন কুন্ড, শেখ মনির আহম্মেদ, খান মো: আরিফুল ইসলাম, মো: শাহাবুদ্দিন তালুকদার, মো: কামাল আহম্মেদ, হুমাউন কবির সুমন। সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন পত্রদাখিল করেছেন শরিফা খানম, অঞ্জলি রানী দাস, আফরোজা আক্তার, জাকিয়া খাতুন, সোমা ভট্রচার্যসহ ৫জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছে বলে সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শেক মোহম্মদ জালাল উদ্দিন জানান।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৭ অক্টোবর বাগেরহাটে জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন। ১৮ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কথা রয়েছে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে একজন প্রার্থী। এবারের নির্বাচনে জেলার ৯টি উপজেলা, ৭৫টি ইউনিয়ন ও তিনটি পৌরসভার ১০৩৬ জন জনপ্রতিনিধি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামন টুকু মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। এসময় তার সাথে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. ভুইয়া হেমায়েত উদ্দিন , সহ-সভাপতি এ্যাড. ফরিদ উদ্দিন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক খান হাবিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ লিয়াক হোসেন লিটন, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাছির উদ্দিন, কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা সরোয়ার, ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাস সহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন,সরকারি দলের মনোনয়ন প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু বর্তমানে জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।এর আগে ২০০৮ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসলে প্রথমে জেলা পরিষদের প্রশাসক এবং পরবর্তীতে দুই মেয়াদে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বর্ষিয়ান এই নেতা।
বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান টুকু বৃহত্তর খুলনা জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক,কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি,বৃহত্তর খুলনা জেলার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, বৃহত্তর খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক,খুলনা মহানগর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক,বাগেরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনৈতিক কারণে ১৯৬২ থেকে ৬৮ সাল পর্যন্ত তিনি ১০-১১ বার জেল খেটেছেন তিনি।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে দীর্ঘ সময় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন এই মুক্তিযোদ্ধা।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বৃহত্তর খুলনা মুজিব বাহিনীর প্রধান ছিলেন কামরুজ্জামান টুকু।সাতক্ষীরা,মোংলা সহ তিনি ৮০ টি ক্যাম্প গঠন করেন।বহু সম্মুখ যুদ্ধে পাক আর্মি ও রাজাকারদের পরাজিত করে এক বিশাল মুক্ত এলাকা গড়ে তোলেন।
rj
Leave a Reply