মঙ্গল. মে ৭, ২০২৪

বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটে আহরণ নিষিদ্ধ চারটি শাপলাপাতা মাছ উদ্ধার করেছে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বিকেলে বাগেরহাট শহরের কেবি বাজার এলাকা থেকে ২৭০ কেজি ওজনের এই মাছ জব্দ করে বনরক্ষিরা। এসময়, মাছ সংরক্ষন করায় ব্যবসায়ী জাফর সরদার (৪৫) ও ইজিবাইক চালক সজল গাজী (২৫) নামের দুইজনকে আটক করা হয়। এর আগে দুপুরে খুলনা মহানগরের কেসিসি রূপসা পাইকারী মৎস্য বাজারের মেসার্স আমিনিয়া ও আজমীর ফিশ ট্রেডার্স থেকে ৩৮ হাজার ৬৬০ টাকায় চারটি শাপলাপাতা মাছ কিনে মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাটে নিয়ে আসে।
গ্রেফতার জাফর সরদার কচুয়া উপজেলার বাধাল সরদারপারা এলাকার আজহার আলী সরদারের ছেলে। ইজিবাইক চালক সজল গাজী বাগেরহাট সদর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের সুলতান গাজীর ছেলে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের পূর্বক বন আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বন আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আছাদুল ইসলাম আটককৃতদের কারাগারে প্রেরণ ও মাছ গুলোকে ধ্বংস করার আদেশ দিয়েছেন।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের সদর রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির শাপলাপাতা মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই মাছ আহরণ, বিক্রয় ও সংরক্ষন না করার জন্য বন বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। এরপরেও কিছু অসাধু জেলে এই মাছ আহরণ করছে। ব্যবসায়ীরা এই মাছ বিক্রি করছে। খুলনা থেকে বাগেরহাটে এই মাছ নিয়ে আসা ও বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করার অপরাধে ব্যবসায়ী জাফর সরদার ও ইজিবাইক চালক সজল গাজীকে আটক করা হয়েছে। আটক জাফর সরদার সজলের সাথে এই মাছ বিক্রির অপরাধে খুলনার মেসার্স আমিনিয়া এবং আজমীর ফিস ট্রেডার্সের মালিক হাজী মো. মাহবুব মোড়ল ও শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়াকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের নির্দেষে জব্দ শাপলাপাতা মাছ কেরোসিন দিয়ে মাটির নিচে পুতে ফেলা হয়েছে।ssn

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *