বাগেরহাট প্রতিনিধি :
সারাদেশে ১ কোটি পরিবারের হাতে টিসিবির পণ্য পৌঁছে দেয়ার অংশ হিসেবে বাগেরহাটে ৮১ হাজার ৯১৩ পরিবারের মাঝে ন্যায্যমূল্যে পণ্য পৌঁছে দেয়া হবে। এ বিষয়ে শনিবার (১৯ মার্চ) বিকালে জেলা প্রশাসকের বসভবনে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের জেলা প্রশাসক মোহম্মদ আজিজুর রহমান জানান, রবিবার সকালে শহরের মুনিগঞ্জস্থ খাদ্য গোডাউন থেকে টিসিবির পণ্য পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে। কার্যক্রমের আওতায় বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলা ও ৩টি পৌরসভায় রোজার আগে প্রথম ধাপে ২০ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ এবং রোজার মধ্যবর্তী সময়ে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য পৌঁছে দেয়ার কাজ চলবে। এ সময় টিসিবির ডিলারদের মাধ্যমে প্রতি পরিবারকে দুই কেজি করে চিনি, মশুর ডাল, সয়াবিন তেল, ছোলা সরবরাহ করা হবে। চিনি ৫৫টাকা কেজি, মশুর ডাল ৬৫ টাকা কেজি, সয়াবিন তেল ১১০টাকা লিটার ও ছোলা ৫০ টাকা কেজি দর ধরা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) খন্দকার মোহাম্মদ রেজাউল করিম সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সভাপতি নীহার রঞ্জন সাহা সহ জেলা শহরে কর্মরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাযায়, নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সারা দেশে টিসিবি পন্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাগেরহাটেও ২১ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক এই পন্য বিক্রি শুরু হবে। তালিকাভুক্ত কার্ডধারী ৮১ হাজার ৯১৩ জন উপকারভোগী এই পন্য পাবেন। উপকারভোগী প্রতিটি পরিবার ২ কেজি করে চিনি, মশুর ডাল এবং সয়াবিন তেল পাবেন। ২য় ধাপে রমজানের মধ্যে আরও এক পন্য প্রদান করা হবে। প্রতিটি প্যাকেজের দাম হবে ৪৬০ টাকা। ২য় ধাপে একটি পরিবার ২ কেজি করে চিনি, মশুর ডাল, সয়াবিন তেল এবং ২ কেজি ছোলা প্রদান করা হবে।
কার্ডধারী ৮১ হাজার ৯১৩ জন উপকারভোগীর মধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলায় ১৫ হাজার ৯০৮ জন, মোংলায় ১০ হাজার ২৫, মোরেলগঞ্জে ১৫ হাজার ৯২, চিতলমারী ৬ হাজার ৭০৭, ফকিরহাটে ৮ হাজার্ ৫৯৪, কচুয়ায় ৫ হাজার ৬৭৬, রামপালে ৬ হাজার ৩৭৩, শরণখোলায় ৫ হাজার ২৩৫ জন উপকারভোগী রয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলায় ৪৩জন ডিলার এই পন্য বিতরণ করবেন।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, টিসিবি থেকে পন্য এনে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্যাকেট করে টিসিবির ডিলারদের কাছে দেওয়া হবে। ডিলাররা নির্দিষ্ট স্থানে উপকারভোগীদের হাতে পন্য পৌছে দিবেন। টিসিবির পন্য প্রদানের ক্ষেত্রে কোন প্রকার অনিয়ম হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
rj