শুক্র. এপ্রি ২৬, ২০২৪

বাগেরহাট প্রতিনিধি.
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ সেবিকা (সিনিয়র স্টাফ নার্স) সারাবন তহুরা (২৯) গুরুতর আহত হয়েছেন। তার মূখে, নাকে, কপালে ও মাথায় আঘাতের রক্তাক্ত চিহ্ন রয়েছে। তবে তিনি কোথায় কিভাবে আহত হয়েছেন বা তাকে কারা কখন হাসপাতালের সামনের রাস্তায় ফেলে রেখে গেছে তা বলতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বুধবার বিকেলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনের রাস্তা থেকে নার্স তহুরাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে আইসিইউ’তে নিরীড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে চিকিৎসকেরা।
সারাবন তহুরা বাগেরহাট সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তহুরার বাড়ি জেলার ফকিরহাট উপজেলার কাঁঠালতলা গ্রামে। তিনি হাসপাতালের সরকারি ডরমেটরিতে বসবাস করেন।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (সুপারিনটেনডেন্ট) ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার সকালে বলেন, ২০১৬ সালে সারাবন তহুরার হাসপাতালে নার্সের চাকরি হয়। সেই থেকে তিনি হাসপাতালের সরকারি ডরমেটরিতে থেকে চাকরি করে আসছেন। গত মঙ্গলবার রাতে তহুরা হাসপাতালে নাইট শিপ্ট ডিউটি করে (রাত আটটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত) বুধবার সকাল আটটায় ডরমেটরিতে ফিরে যান। এরপর তিনি ডরমেটরি থেকে কখন কোথায় বেরিয়েছিলেন তা কেউ বলতে পারছে না। বুধবার বিকেলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনের রাস্তায় সারাবন তহুরাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পথচারিরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে আসে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত খুলনায় পাঠিয়ে দেয়। খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে আইসিইউ’তে নিরীড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে চিকিৎসকেরা।
তিনি আরো বলেন, তার মূখে, নাকে, কপালে ও মাথায় আঘাতের রক্তাক্ত চিহ্ন রয়েছে। তবে তিনি কোথায় কিভাবে আহত হয়েছেন বা তাকে কারা কখন হাসপাতালের সামনের রাস্তায় ফেলে রেখে গেছে তা এখনো জানতে পারিনি। তিনি সুস্থ হলে বিষয়টি জানা যাবে।
বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে এখনো কিছু জানায়নি। তারা অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে আসল রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা করবে।ap

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *