বাগেরহাট প্রতিনিধি.
বাগেরহাটে জমির বিরোধে স্বামী পরিত্যক্ত নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণ, জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার-১,
বাগেরহাটে জমির বিরোধে স্বামী পরিত্যক্ত এক নারী (৩৫) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাতে এই ঘটনায় ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাইফুল ইসলাম (৩০) নামে এজাহারনামীয় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে নির্যাতনের শিকার মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা বাগেরহাট সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। তাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্বজনরা পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই নারী। তিনি জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
গত রোববার গভীর রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের বড় বাঁশবাড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
ওই নারী হাসপাতালে বসে সাংবাদিকদের বলেন, রাত এগারোটার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে বেরোলে আগে ওত পেতে থাকা একজন তার মুখ চেপে ধরে। এসময়ে তার হাত ছাড়াতে গেলে সে আমার হাতে কামড়ে দেয়। পরে তার সাথে থাকা আরেকজন গামছা দিয়ে মুখ ও ওড়না দিয়ে দুই হাত বেঁধে ফেলে বাড়ির পেছনের সুপারি বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তাকে দলবদ্ধ হয়ে ধর্ষণ করে। তারা সবাই মিলে আমাকে শারীরিক নির্যাতন করেছে। তার শরীরের বিভিন্নস্থানে কামড়ের চিহ্ন রয়েছে। এই নির্যাতনের নেতৃত্ব দিয়েছেন সাইফুল ইসলাম। সে আমার মায়ের সৎ বোনের ছেলে। তিনি আমার সম্পর্কে মামা হন। আমাকে নানা বাড়ির সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্য সাইফুল ইসলাম তার সহযোগিদের নিয়ে আমার উপর নির্যাতন চালিয়ে চলে যায়। পরে আমার ডাকচিৎকারে শুনে পাশের ঘরে ঘুমিয়ে থাকা আমার মা এসে আমাকে উদ্ধার করে হ্সাপাতালে ভর্তি করেন। স্বামী আমাকে ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে আমি আমার পাঁচ বয়সী মেয়েকে নিয়ে নানা বাড়িতে বসবাস করে আসছি। আমি এই ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডের চিকিৎসক ডা. জিনিয়া ফেরদৌস সাংবাদিকদের বলেন, নির্যাতনের শিকার এক নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ওই নারী এখণ সুস্থ রয়েছেন। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সব ধরনের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদ হাসান সাংবাদিকদের বলেন, নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছি। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ap