সোম. মে ২০, ২০২৪

 

বাগেরহাটপ্রতিনিধিঃ
সুন্দরবনে প্রবেশ করতে গিয়ে বনরক্ষীদের হাতে চরমভাবে হয়রানি হওয়ার কারনে পুর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে একটি লিগ্যাল নোটিশ করেছেন এক পর্যটক। শরনখোলা উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার, শরনখোলা প্রতিনিধি মিজানুর রাকিব বাদী হয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারী রোববার বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে ওই লিগ্যাল নোটিশটি করেন। এতে সুন্দরবন পুর্ব বিভাগের বন-সংরক্ষক (ডিএফও) মুহম্মদ বেলায়েত হোসেন, শরনখোলা রেঞ্জের সহকারী বন-সংরক্ষক (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীন, শরনখোলা ষ্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. আব্দুল মান্নান, শরনখোলা ষ্টেশনের আওতাধীন সুপতি টহলফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল বারী ও একই ফাঁড়ির (বিএম) মো. আনোয়ার হোসেনকে বিবাদী করা হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের উক্ত নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সাংবাদিক মিজানুর রাকিব জানায়, বনবিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে তথ্য সংগ্রহ সহ ভ্রমনের উদ্দেশ্যে ২৬ ফেব্রুয়ারী (শুক্রবার) সকালে তিনি ও ঢাকার কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক সহ চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সুন্দরবন পুর্ব বিভাগের শরনখোলা ষ্টেশন হতে নিয়মানুযায়ী ০১৮২৭০৩ নং (অনুমতি) পাস সংগ্রহ শেষে সুন্দরবনে যাত্রা করেন কিন্তু ওই দিন সকাল অনুমান ১০টার দিকে ট্রলার যোগে তারা শরখোলা রেঞ্জের সুপতি এলাকায় পৌছালে শরনখোলা রেঞ্জের (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীনের নির্দেশে সুপতি ষ্টেশনের বনরক্ষীরা তাদের ট্রলারটি আটকে দেয়। এ সময় তারা সাংবাদিক পরিচয় দেন এবং বনবিভাগের (অনুমতি) পাস দেখান কিন্তু তার পরেও কর্তব্যরত বনরক্ষীরা তাদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরন করেন। এক পর্যায়ে তারা ফিরে আসতে বাধ্য হন। এসিএফ সহ বনকর্মীদের এমন আচরনে তিনি সহ তার সফর সঙ্গীরা চরমভাবে নাজেহাল হয়েছেন বলে দাবী করেন মিজানুর রাকিব। পাশাপাশি তারা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। পরবর্তীতে, তারা এসিএফকে বহু অনুরোধ করলেও তা আমলে নেয়নি জয়নাল। তাই বনকর্মকর্তা কর্মচারীরা যাতে ভবিষ্যতে আর কোন পর্যটককে হয়রানি করতে না পারে সে জন্য সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিয়েছে তিনি। তাছাড়া বিবাদীরা নোটিশে সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে মানহানিকর মামলা দায়ের করবেন বলে জানায় ক্ষতিগ্রস্থ সাংবাদিকরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শরনখোলা রেঞ্জের ষ্টেশন কর্মকর্তা মো. আ. মান্নান বলেন, আমি কেবল মাত্র ওই সাংবাদিকদের বনে প্রবেশ করার অনুমতি (পাস) দিয়েছি। যারা তাদেরকে ফিরে যেতে বাধ্য করেছেন এ দায়ভার কেবল মাত্র তাদের।
এছাড়া, সুপতি ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সাইফুল বারী এবং শরনখোলা রেঞ্জের (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীনের কাছে জানতে তাদের মুঠোফোনে বার বার ফোন করা হলেও তারা তা রিসিভ করেননি।
অপরদিকে, বিভাগীয় বনকর্মকর্তা (ডিএফও) মুহম্মদ বেলায়েত হোেেসন জানান, নোটিশের জবাব যথাযথ ভাবে দেওয়া হবে। হয়রানির বিষয়টি সঠিক নয়। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে মাত্র। এছাড়া বনকর্মীরা সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরন করে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে বিধিগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ##

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *