শনি. এপ্রি ২৭, ২০২৪

 

শরণখোলা প্রতিনিধিঃ
প্রকাশ্যে ভোটদান, ভোট কেন্দ্রে না আসার হুমকি ও নেতা-কর্মী সহ নিজের পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে ও সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ-র‌্যাব মোতায়েনের দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মহিম আকন। শনিবার ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে শরণখোলা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত হুমকির সম্মুখীন হচ্ছি। আমার নির্বাচনী কর্মী-সমর্থকরা প্রচার প্রচারনায় অংশ গ্রহণ করতে গেলে নৌকা প্রতিকের প্রতিদন্ধী প্রার্থী মাইনুল হোসেন টিপুর কর্মী-সমর্থকরা মারপিট, ভয়ভীতি সহ ভোট কেন্দ্রে না আসার হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে এবং ভোটকেন্দ্রে আসলে প্রকাশ্যে ভোট দিতে হবে নইলে এলাকা ছাড়ার হুমকিও দিয়ে যাচ্ছে। আমার কর্মীরা পোষ্টার টাঙ্গাইতে গেলে তাদেরকে গাছের সাথে টাঙ্গাইয়া রাখার হুমকি দিচ্ছে। আমার এজেন্ট সহ কর্মী সমর্থকদের উপর দিনদিন হুমকি ধামকির পরিমান বেড়েই চলছে। কেউ যাতে আমার এজেন্ট না হয় সেজন্য তাদের বাড়ি গিয়েও হুমকি দিচ্ছে। এতে আমার কর্মী সমর্থকরা সহ আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীণতার মধ্যে রয়েছে।  তিনি আরো বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ও ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘাতের আশংকা থাকায় ইতিমধ্যে স্বরাষ্টমন্ত্রী, পুলিশের মহা পরিদর্শক, ডিআইজি খুলনা, র‌্যাব-৬, পুলিশ সুপার বাগেরহাট, জেলা নির্বাচন অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অফিসার ইনচার্জ শরণখোলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাইনি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ সমর্থক নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মঈনুল হোসেন টিপু বলেন, এসব অভিযোগ আদৌ সত্য নয় বরং তার কর্মী সমর্থকরা আমার কর্মীদের উল্টো ভয়ভীতি প্রদর্শণ করছে। শরণখোলা ধাণসাগর ইউনিয়নের রির্টার্নি অফিসার ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মহসিন বলেন, উভয় প্রার্থী একে অন্যেও বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া মহিম আকনের পক্ষ থেকে সুনিদৃষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাতুনে জান্নাত বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে মহিম আকনের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই ওই এলাকায় আমি নিজেই পরিদর্শণ অব্যাহত রেখেছি। পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর নজরদারী বাড়ানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

mn,rk,

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *