বাগেরহাট প্রািতনিধি.
বাগেরহাটে মাইকিং করে ঘুরে ঘুরে রাস্তায় বসে করোনা ভাইরাসের টিকা দিচ্ছে পৌরসভার ভ্রাম্যমান স্বাস্থ্য কর্মীরা। শনিবার সকাল নয়টা থেকে পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌরসভার টিকা পাওয়ার যোগ্য যেসব নাগরিক সরকারের টিকা কার্যক্রম শুরুর পরে এখনো টিকা গ্রহণ করেনি তাদের সুরক্ষার জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌরসভার এই উদ্যোগকে ব্যতিক্রমী বলছে স্থানীয়রা।
বাগেরহাট পৌরসভার স্যানিটারী ইন্সপেক্টর খান মো. রোকনুজ্জামান বলেন, সরকারের টিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর থেকে পৌরসভার স্বাস্থ্য কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত পৌরসভার ২৫ হাজার নাগরিককে প্রথম, দ্বিতীয় ও বুষ্টার ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে পৌরসভার ৯৫ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। কর্মব্যস্ততার কারনে শ্রমিক, দোকানদার, ব্যবসায়িসহ পৌরসভার অনেক নাগরিক এখনো টিকা নিতে পারেনি। এখনও যারা টিকা নেননি বা দ্বিতীয় ও বুষ্টার ডোজ বাকি রয়েছে তাদের জন্য আমরা একদিনের জন্য ভ্রাম্যমাণ টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে এই কার্যক্রম সকাল থেকে চলছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে ভ্রাম্যমাণ দল করোনার টিকা নিয়ে অবস্থান করছে। মাইকিং করে টিকা যাদের এখনো বাকি রয়েছে তাদের ডেকে ডেকে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্য কর্মীরা টিকা দিচ্ছেন। বলতে পারেন মানুষের দোরগোড়ায় গিয়ে আমরা টিকা দিচ্ছি। চলবে বিকেল তিনটা পর্যন্ত। করোনার টিকা নেন, এবং অন্যদেরও টিকা নিতে উৎসাহিত করুন।
বাগেরহাট ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আহাদ হায়দার বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাগেরহাটে দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমিত হয় কয়েক হাজার মানুষ। করোনার সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা পেতে সরকার জনগনকে বিনামূল্যে টিকা কার্যক্রম শুরু করে। প্রথম থেকেই বাগেরহাটের মানুষ টিকা নেয় আগ্রহ ভরে। বাগেরহাট জেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার হার ষাট শতাংশের উপরে। বাগেরহাট পৌরসভাসহ জেলার বেশকিছু মানুষ জেনে না জেনে অথবা অবহেলা করে এই করোনার টিকা নেয়নি। বাগেরহাট পৌরসভা এই সব মানুষদের টিকার আওতায় আনতে একদিনের জন্য ভ্রাম্যমাণ টিকা কার্যক্রম শুরু করেছে তা প্রশংসনীয়। তারা মাইকিং করে ডেকে ডেকে টিকা দিচ্ছে। সবাই এই টিকা নিয়ে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবে সেই প্রত্যাশা করছি।ap