বৃহঃ. মে ২, ২০২৪

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

 

নানা কর্মসুচির মধ্যে দিয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের  জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।

 

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষে স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮ তম শাহাদৎ বার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবস পালন”

১৫ ই আগস্ট ১৯৭৫ সালের এই দিনে কিছু সংখ্যক বিপথগামী সেনা সদস্যদের হাতে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শাহাদাৎ বরণ করেন। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রপথিক সকল বিপ্লবের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮ তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

 

১৫ ই আগস্ট সূর্যোদয়ের সাথে সাথে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন স্থাপনায় জাতীয় পতাকা ও বন্দর পতাকা উত্তোলন এবং অর্ধনমিত রাখা হয়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সকাল ১০:০০ ঘটিকায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে আলোচনা সভা এবং প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী, চেয়ারম্যান মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সভাপতিত্ব করেন পরিচালক (প্রশাসন) (ভারপ্রাপ্ত), কালাচাঁদ সিংহ। এছাড়াও উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সকল বিভাগীয় প্রধান, উপবিভাগীয় প্রধানগণ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বন্দরের অফিসার্স এসোসিয়েশনের সদস্যবৃন্দ এবং সিবিএ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী চেয়ারম্যান মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বলেন, ‘ জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরী ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৫ ই আগস্ট ১৯৭৫ সালে পরিবারের সদস্যদের হারানোর এত বড় শোক নিয়েও দেশের মানুষের জন্য এবং দেশের উন্নয়নের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, জাতির পিতার কন্যাদ্বয়ের মতো এই দেশকে কেউ ভালবাসতে পারেনি। ‘তিনি আরো বলেন , ‘ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে হৃদয়ে লালন করতে হবে এবং পরবর্তী প্রজন্মকে জাতির পিতার দেশপ্রেম, ত্যাগ এবং আদর্শ সম্পর্কে জানানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব’।

উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে চেয়ারম্যান মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জাতির পিতার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ, ” অসমাপ্ত আত্মজীবনী” এবং “কারাগারের রোজনামচা” ও‌ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক রচিত “শেখ মুজিব আমার পিতা” বইসমূহ আলোচকদের উপহার হিসেবে প্রদান করেন।

উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানের পরপরই বেলা ১২:০০ ঘটিকায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তর চত্বরে চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী কর্তৃক একটি ফলজ বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ২০২৩ এর শুভ উদ্বোধন করা হয়।

উপসচিব বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ মংলা বন্দর মো: মাকরুজ্জামান তিনি জানান  আগস্ট মাসের শুরু থেকেই মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কালো ব্যাচ পরিধানের মধ্য দিয়ে মাসব্যাপী কর্মসূচির কার্যক্রম শুরু করা হয়। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়ের মূল ফটক, পোর্ট জেটি, মোংলা এবং খুলনাস্থ আবাসিক এলাকার মূল ফটকে, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনস্থ স্কুল ও স্থাপনা সমূহের দৃশ্যমান স্থানে ব্যানা/ড্রপ ডাউন ব্যানার, ফেস্টুন ও ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন করা হয়। বন্দর অধীনস্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহে জাতীয় কর্মসূচির আলোকে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ভিত্তিক বক্তৃতা, রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক শোকবার্তা প্রকাশ করা হয়। এছাড়াও বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে খুলনা, মোংলা ও বাগেরহাটের বিভিন্ন এতিমখানায় এতিমদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করা হয়। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনস্থ মসজিদ সমূহে পবিত্র কোরআন খতমের আয়োজন এবং বাদ যোহর দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের শাহাদৎ বরণকারী সকল সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।#

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের নানা কর্মসুচির মধ্যে দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন,

নানা কর্মসুচির মধ্যে দিয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের  জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।

 

 

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *