শনি. এপ্রি ২৭, ২০২৪

ঢাকা অফিসঃ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সরজমিনে বাঁশখালী তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ: বাঁশখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অফ অনার ছাড়া দাফন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে বীর মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলা এবং ঐ বীর মুক্তিযোদ্ধাকেই আসামী করে দায়েরকৃত বিতর্কিত মামলা প্রসঙ্গে সরজমিনে তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করে সংগঠনের সভাপতি মেহেদী হাসান এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম রেজা, অর্থ সম্পাদক মাধবী ইয়াসমিন রুমা, ত্রাণ ও পূনর্বাসন সম্পাদক মাকসুদা সুলতানা ঐক্য, যুব কমান্ড কেন্দ্রীয় সভাপতি জাফর ইকবাল নানটু, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম এর সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম উদ্দিন রানা, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কমান্ড এর চেয়ারম্যান ইপোনুর রহমান মুন্না, আরিফা রহমান দীপা এবং সময় মুরাদ প্রমূখ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য: চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার ছাড়া দাফন বিতর্ক নিয়ে সম্প্রতি সারা দেশব্যাপী আন্দোলনের বাস্তবতা প্রেক্ষাপট ও অন্তর্নিহিত তাৎপর্য সম্পর্কিত সরজমিনে তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিক বন্ধুদের স্বাগত জানিয়ে আজ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ইং রবিবার বেলা ১১:০০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাব, তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর তদন্তদল কর্তৃক সংগৃহিত তথ্যসমূহ প্রসঙ্গক্রম অনুযায়ী কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে প্রথম ধাপের রিপোটর্টি এখন তুলে ধরছি,মেহেদী হাসান,সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটি।

এগার্ড অব অনার ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সমাহিত করণ বিতর্ক প্রসঙ্গ: বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আলী আশরাফ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৬ জুলাই, ২০২০ আনুমানিক দুপুর ২.১০ মিনিটে ইন্তেকাল করেন এবং ২৭ জুলাই বেলা ১১ টায় মরহুমের জানাজার নামাজ এর সময় নির্ধারণ করে পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করেন এবং সে মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের প্রায় আধা ঘণ্টা পূর্বেই গার্ড অব অনার প্রদানকারী পুলিশ দল জানাজা স্থলে পৌঁছে যায়।

বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসন প্রতিনিধি এসিল্যান্ড সাহেব যথাসময়ে উপস্থিত হতে না পারায় জানাজা নামাজ পরবর্তী গার্ড অব অনার হবে মর্মে নির্ধারিত সময়ে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয় অত:পর কালক্ষেপন না করে তড়িঘড়ি করে দাফন কার্য সম্পন্ন করে।

সমাহিত করনের শেষ পর্যায়ে এসিল্যান্ড ঘটনাস্থলে পৌছে গার্ড অব অর্নার দিতে চাইলে তার সাথে দূর্ব্যবহার করা হয় এবং অনেকের ভাষ্যমতে শারীরিকভাবেও লাঞ্চিত করা হয়। ঘটনাস্থলে এসিল্যান্ড নিজেকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দিলে সদ্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার জেষ্ঠ্যপুত্র জয়নাল আবেদীন তাকে রাজাকারের বাচ্চা বলে গালমন্ধ করার পরও গার্ড অব অনার দিতে চাহিলে উপস্থিত কিছু লোক গার্ড অব অনার দেওয়া বেদাত এবং বিউগল বাজানো নাযায়েজ বললে উক্ত, বক্তব্যের সাথে মরহুমের সন্তান সহ পরিবারের সদস্যরা একমত পোষণ করে গার্ড অব অনার দিতে নারাজ থাকে।

উদ্ভুত বিষয়টি ইউএনও মহোদয় জানার পর অতি অল্প সময়ের মধ্যেই ঘটনাস্থলে এসে মরহুম আলী আশরাফ এর বাড়ি যেয়ে তার সন্তানাদিদের নিকট ক্ষমা চেয়ে গার্ড অব অনার প্রদানে সহযোগিতা চাইলে তারা তাদের পূর্বের সিদ্ধান্তে অটল থাকার ফলে গার্ড অব অনার দিতে না পেরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মরহুমের সদ্য সমাহিত সমাধিস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং একজন পুলিশ কর্মকর্তার সাহায্যে দোয়া ও মোনাজাত সমাপ্ত করে সকলে উক্ত এলাকা ত্যাগ করেন।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর নেতৃত্বে তদন্ত দল সরাসরি এসিল্যান্ড বাঁশখালী কার্যালয়ে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলী আশরাফকে গার্ড অব অনার না দেয়ার কারণ এবং উদ্দেশ্য কি জানতে চাইলে উত্তরে তিনি বলেন,“যথা সময়ে পৌছানের জন্য অফিস থেকে রওয়ানা দেওয়ার পর পথিমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতিহীন অবৈধ কুরবানীর পশুর হাট রাস্তার মধ্যে বসার ফলে সৃষ্ট যানজটে কিছুটা সময় নষ্ট হয় পাশা-

পাশি মূল সড়ক থেকে মরহুমের বাড়িতে যাওয়ার রাস্তাটা অপ্রসস্ত এবং গাড়ি চলাচলে সমস্যা থাকায় প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ হেটে জানাজা স্থলে পৌছাতে সময় নষ্ট হয়। সর্বপরি জানাজায় প্রচুর লোক সমাগম হওয়ায় ভিড় ঠেলে মরদেহর কাছে পৌঁছাতে অনেক সময় লেগে যায়।

তিনি আরো বলেন করোনায় আক্রান্ত হয়ে শুস্থ হওয়ার পরও শরীরটা খুব দূর্বল ছিল এবং মুখে মাস্ক থাকায় এলাকার অনেকেই চিনতে না পারায় ভিড় ঠেলে সামনে আসতে অতিরিক্ত সময় লেগে যায়”। উল্লেখ থাকে যে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাসময়ে না পৌছাতে পারায় একটু অপেক্ষা করার জন্য মরহুমের আত্মীয় স্বজন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের বরাবর অনুরোধ করা হয়েছিল।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলী আশরাফকে গার্ড অব অনার প্রদান বেদাত এবং বিউগল বাজানো নাযায়েজ এই ফতোয়া দিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে পরিবেশ উত্তপ্ত করার প্রেক্ষিতে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা, তাদের সন্তানেরা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ গার্ড অব অনার প্রদানের পক্ষে ইচ্ছা থাকা সত্বেও পরিবারের সদস্যদের অনীহার কারণে কারণে গার্ড অব অনার প্রদান সম্ভব হয় নাই।

এই সব ঘটনার প্রেক্ষিতে জনমনে প্রশ্ন- (১) বীর মুক্তিযোদ্ধারা কি কোন নির্দিষ্ট পরিবার বা ব্যক্তিবর্গের সম্পদ না কি রাষ্ট্রের সম্পদ ? (২) বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পর গার্ড অব অনার প্রদানের দায়িত্ব কার এবং তা পালনে ব্যর্থ হলে সে দায় কার ? (৩) বীর মুক্তিযোদ্ধার গার্ড অব অনার প্রদানে বাধা বা গার্ড অব অনার দিতে না দিয়ে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে তড়িঘড়ি করে দাফন করলে সেটা রাষ্ট্রীয় কাজে বাধার সামিল বলে বিবেচিত হবে কি না এবং এহেন কর্মকান্ডে যে বা যারা সম্পৃক্ত তাদের শাস্তি কি হওয়া উচিত এবং কারা এই শাস্তির আওতাভূক্ত  হবেন ?

তড়িঘড়ি করে জানাজা ও দাফন কার্য সম্পাদন, গার্ড অব অনার বেদাত ও নাযায়েজ বলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে যে বা যারা নেতৃত্ব দিয়েছে তারা প্রত্যেকেই স্বাধীনতা বিরোধী জামাত শীবিরের স্বীকৃত সদস্য, যাদের মধ্যে মরহুমের একজন জামাতা সহ স্থানীয় একটি পত্রিকার প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিস্কৃত ছাত্র কুখ্যাত শিবির ক্যাডার ফারুক আবদুল্লাহ্ গংদের ভূমিকা অন্যতম।

সার্বিক পর্যালোচনা করলে দেখা যায় গার্ড অব অনার কে বেদাত ও না জায়েজ আখ্যা দিয়ে ধর্মীয় উম্মাদনা সৃষ্টি করে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার দিতে না দিয়ে উল্টো পরিবারের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধার দাফন শিরোনামে যে বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে তা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও মিথ্যাচার।

এক্ষেত্রে সরকারি কাজে বাধা, অপপ্রচারের মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ক্ষুন্ন এবং দেশব্যাপী একটা অস্থির পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরী করতে উক্ত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে মুখোমুখি দাড় করিয়ে তৃতীয় একটা পক্ষের স্বার্থ হাসিল করার অপচেষ্টা পরিলক্ষিত হয় যার নেপথ্যে মদদ দাতা দেশ বিরোধী জামাত-শিবির চক্র এবং তাদের সাথে হাত মিলিয়েছে নবাগত আওয়ামী লীগ বা রূপান্তরিত আওয়ামী লীগ।
মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঁশখালীর ইতিহাস বিকৃতকরণ প্রসঙ্গ: মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার ইতিহাস বিকৃতি করেছেন মর্মে স্থানীয় সংসদ সদস্য জনাব মোস্তাফিজুর রহমান এর সাথে একজন লোকের কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

এই বক্তব্যের সত্যতা জানতে স্থানীয় সংসদ সদস্যের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোন সংযোগ পাওয়া যায়নি, তবে গত ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ সংসদ সদস্য জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান সাংবাদিক পরিচয় দানকারী পার্থ প্রতীম নন্দি তার বক্তব্য এডিট করে অপপ্রচার করছে।

অপরদিকে সদ্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আশরাফ সাহেব এর ছেলে পিতার দাফন স্থলে বলেন  বাঁশখালীতে তাহার পিতা আলী আশরাফ ও চাচা মৌলভী সৈয়দ আহমেদ একমাত্র যুদ্ধ করেছে এবং উক্ত এলাকায় উনারাই প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা। এই বক্তব্যের ভিডিও চিত্র ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় এক নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এই মর্মে যে পাকিস্তান বাহিনীর সাথে তার পিতা বাঁশখালির কোথায় যুদ্ধ করেছে এবং দুই জন লোকের পক্ষে একটি বাহিনীর বিরুদ্ধে আদৌ সম্মুখ যুদ্ধ সম্ভব কিভাবে? তার এই বক্তেব্যে প্রমান করে বাঁশখালিতে পাকিস্তান বাহিনীর সাথে কোন সম্মুখ যুদ্ধ হয় নাই এবং সংসদ সদস্য ও তার বক্তব্য সমার্থক।

অনেকেই তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন শ্রদ্ধেয় মৌলভী সৈয়দ আহমেদ চট্টগ্রাম শহরের গেরিলা যোদ্ধা। উনার বড় ভাই কোথায় যুদ্ধ করেছেন সেটা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেনা, তবে তিনিও চট্টগ্রাম বা অন্য এলাকাতে যুদ্ধ করতে পারেন যেহেতু অত্র এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধারা বাঁশখালীর আশেপাশে চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রশিক্ষণ নিয়ে নানা জায়গায় পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন।

অনেকের মতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলী আশরাফ এর ছেলের বক্তব্যের সাথে স্থানীয় সংসদ সদস্যের মন্তব্য সাদৃশ্য পূর্ণ হওয়ার পরেও বিষয়টিকে অপপ্রচারের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ইস্যু বানানোর প্রচেষ্টা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আখ্যায়িত করা যেতে পারে ।

১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে পশ্চিম পাকিস্তানের পক্ষে পূর্ব পাকিস্তান থেকে যে দুটো আসন পেয়েছিল বাঁশখালী তার মধ্যে একটি। পাকিস্তান বাহিনীর জন্য বাঁশখালী এলাকাটি ছিল তাদের নিজ ভূমি পশ্চিম পাকিস্তানের মত নিরাপদ। বাস্তবতার নিরিখে উক্ত অঞ্চল রাজাকার বাহিনীদের জন্য উম্মুক্ত থাকলেও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নিরাপদ ও স্বাভাবিক ছিল না।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তান বাহিনী অত্র এলাকায় আনুমানিক ২ বার কিছু এলাকায় প্রবেশ করে হত্যা, নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগ ঘটিয়ে ফিরে যায় তবে সরাসরি পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো সম্মুখ যুদ্ধ বা প্রতিরোধ বাঁশখালী কোথায়, কখন, কারো নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছে মর্মে এরকম কোনো বক্তব্য আমরা জানতে পারিনি কিন্তু রাজাকার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে এবং সে যুদ্ধে অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রাণ হারায় যাদের মধ্যে শহীদ মুরিদুল আলম, শহীদ মমতাজ উদ্দিন, শহীদ সার্জেন্ট মহিউল আলম, শহীদ আবু সাঈদ অন্যতম।

বাঁশখালীতে রাজাকার বাহিনীদের অন্যতম প্রধান ক্যাম্প গুনাগরী ওয়াপদা অফিস, সাধনপুর বোর্ড অফিস, চাঁনপুর খাদ্যগুদাম সহ অন্যান্য ক্যাম্পে রাজাকারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সরাসরি যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তারা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতানুল কবির চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখতার আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নূরুল কবির চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: আবু ইউসুফ চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার সমিউদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ চন্দ্রু আচার্য্য প্রমূখ।

বাঁশখালী উপজেলার অধিবাসী প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা “অত্র এলাকায় দুই জন মুক্তিযোদ্ধা” এই বক্তব্যে অপমানিত বোধ করে এটাকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করার হীন চেষ্টা বলে আখ্যায়িত করেছেন। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে বীর মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাকেই আসামী করে।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের বিতর্কীত মামলা প্রসঙ্গ: বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলী আশরাফ কে গার্ড অব অনার ছাড়া দাফন এর প্রতিবাদে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ব্যানারে।

উক্ত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার জন্য বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম চৌধুরী কে উক্ত উপজেলার অধিবাসী চট্টগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সাবেক নেতা আব্দুর রাজ্জাক দাওয়াত দিয়েছিলেন বলে মেয়র মহোদয় আমাদিগকে জানিয়েছেন।

অনুষ্ঠানস্থলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আব্দুল মালেক জনি হত্যা মামলার ০১নং আসামী এবং বর্তমানে চট্টগ্রাম শহরের প্রতিষ্ঠিত মাদক ব্যবসায়ী আবু শাহাদাত ওরফে সায়েমকে দেখে উপস্থিত লোকজনের একাংশ ক্ষিপ্ত হয়ে বেদম মারধর করে। উল্লেখ থাকে যে, উক্ত সন্ত্রাসী কে রক্ষা করতে যেয়ে বাঁশখালীর সদ্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলী আশরাফ এর ছেলেও শারীরিকভাবে আঘাত প্রাপ্ত হয় এবং পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে থাকা ঐ খুনি চক্রের অন্য সদস্য জনি হত্যা মামলার অন্যতম আসামী রমিজ উদ্দিন কানন এবং চট্টগ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী অস্ত্রবাজ দেলোয়ার গং বাঁশখালী পৌরসভা মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম চৌধুরী কে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে যা বিভিন্ন টেলিভিশন, পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যে সারা দেশবাসী অবগত।

সেলিম চৌধুরী সাহেবকে সরাসরি জিজ্ঞেস করে আমরা নিশ্চিত হই যে, কোন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা তার গায়ে হাত তোলেনি, তাহলে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার গায়ে হাত দিল কে ? এই বিষয়টা নিশ্চিত হতে বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, মেয়র সেলিম চৌধুরীর বক্তব্য সঠিক তাকে যে বা যারা আঘাত করেছে তারা কেউই বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নহে। এরা মূলতঃ পেশাদার খুনি, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী।

এই সন্ত্রাসীদের এখানে আনল কে বা কারা এবং তাদের উদ্দেশ্য কি ? অর্থাৎ এখানে নিশ্চিত কোনো তৃতীয় পক্ষ আছে। ঘটনার বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ বিষয়টি পরিষ্কার করে যে খুনি চক্র ঘটনাস্থলে আগে থেকেই অবস্থান করছিল। উক্ত ঘটনা ঘটার পর বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম চৌধুরীকে ০১নং আসামী করে মামলা দায়ের করে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলী আশরাফ সাহেব এর ছোট ছেলে জহির উদ্দিন বাবর। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অন্য কোন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের মামলা দায়ের বিষয়টি কিছু প্রশ্নের অবতারণা হয়।

(১) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আহুত কর্মসূচির আহ্বানকারী বা সভাপতিত্বকারি ব্যক্তি তার অনুষ্ঠানস্থলে এই অপ্রীতিকর ঘটনার বাদী তিনি নিজে না হয়ে জহির উদ্দিন বাবর কেন বাদী হল এবং সে কিসের ভিত্তিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ০১নং আসামী করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল ?

(২) ধর্মীয় ফতোয়া দিয়ে প্রশাসনকে গার্ড অব অনার না দিতে দেওয়ার তথ্য গোপন করে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলী আশরাফের সন্তানেরা তার বাবার দাফনের বিষয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের অনৈতকভাবে ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য কি ?

(৩) চট্টগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক নেতা আব্দুর রাজ্জাক প্রকৃত সত্য গোপন করে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধাদের অনৈতকভাবে ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য কি? এই ঘটনার সত্যতা খুজতে যেয়ে আব্দুর রাজ্জাক সাহেব আদৌ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাই না বলে অনেকের কাছ থেকে বিষয়টি জানাগেছে। সে লক্ষ্যে তিনি মুক্তিযোদ্ধা কি না বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বরাবর লিখিতভাবে আমাদের আবেদনের প্রস্তুুতি চলছে।

(৪) চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরের কিছু মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রকৃত বিষয়টি না জেনে কর্মসূচী পালন করছেন কেন, এবং উদ্দেশ্য কি ? এছাড়াও এই কর্মসূচী পালনের ব্যয়-ভারের উৎস কি ?

(৫) চট্টগ্রাম মহানর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোজাফ্ফর হোসেন  সত্য ঘটনা না জেনে কিছু বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অনৈতিকভাবে ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য কি ? এই ঘটনার সত্যতা খুঁজতে গিয়ে অনেকের কাছ থেকে জানা যায় মোজাফ্ফর হোসেনের বড় ভাই প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা কিন্তু তিনি নয়। তার এই সত্যতা জানার জন্য মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় বরাবর আমাদের আবেদনের প্রস্তুুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে পাশা-পাশি তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ পরিবারের বিস্তর অভিযোগ আমাদের কানে আসছে। আমরা সকলকে তথ্য প্রমান সহ আমাদের কাছে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করেছি।

(৬) একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুরপর গার্ড অব অনার প্রদান নিয়ে সৃষ্ট ঘটনার প্রকৃত সত্য গোপন করে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে তারই সন্তানেরা সারাদেশ ব্যপি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের রাজপথে নামিয়ে যে সময়, শ্রম, অর্থ অপচয় করালো তার দায়ভার কে নিবে ? প্রতিটি জেলায় যদি ১০০জন লোক সমাগম হয় তবে তাদরে প্রত্যেকের নূন্যতম ৫ ঘন্টা করে সময় নষ্ট হয়েছে এবং আশা-যাওয়া-খাওয়া ও অন্যান্য খরচ বাবদ নূন্যতম ৫০০/- টাকা খরচ হলে ১০০জনে ৫০,০০০/- টাকা এবং অনুষ্ঠান খরচ ১০,০০০টাকা হয়ে থাকলে একটি জেলাতেই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের পকেট থেকে সর্বসাকূল্যে নূন্যতম ৬০,০০০/- টাকা খরচ হয়েছে। সে মোতাবেক ৬৪টি জেলায় নূন্যতম ৩৮,৪০,০০/- টাকা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের পকেট থেকে ধ্বংস করেছে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে। এই করোনা মহামারিকালীন সংকটময় সময়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতি করায় জহির উদ্দিব বাবর গং এবং তাদের মাষ্টার মাইন্ড গংদের আইনের আওতায় আনতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

অন্তর্নিহিত বাস্তবতা: বাঁশখালী এলাকার ধর্মপ্রাণ সহজ-সরল সাধারণ মানুষ মুলতঃ ধর্মভীরু যার সুযোগ ১৯৭১ সালের পূর্বে নিয়েছে পশ্চিম পাকিস্তান আর এখন নিচ্ছে পাকিস্তানের দালাল বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-বিএনপি চক্র। ১৯৭০ এর প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে এই আসনে পাকিস্তান জয়লাভ করেছিল ।

অত্র এলাকার বাস্তবতা এতটাই কঠিন যে, ১৯৭১ সালে রাজাকার বাহিনীর সাথে মুক্তিবাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল এবং সেই যুদ্ধে অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধার জীবনের বিনিময়ে রাজাকারদের পরাজিত করে বাঁশখালীকে স্বাধীন ও মুক্ত করেছিল। এরকম বাস্তবতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উক্ত সংসদীয় আসনে বিজয় লাভ করা উক্ত এলাকার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিশাল অর্জন।

আমরা এলাকার জনসাধারণকে স্যালুট জানাই, কারণ তারা ধর্মের নামে ধোঁকাবাজদের হাত থেকে নিজেদের মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। বাস্তবতা হলো এই যে, অত্র এলাকায় এখনো প্রচুর জামাত শিবির, জঙ্গী সক্রিয় রয়েছে, যারা অত্র এলাকার প্রভাবশালী বাসিন্দা। এরা পরিকল্পিতভাবে তাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং তাদেরই কর্মযজ্ঞে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অনেক সরল প্রাণ মানুষই মনের অজান্তে জড়িয়ে পড়ছে।

বর্তমান প্রেক্ষাপট: ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর দলীয় মনোনয়ন বোর্ড কর্তৃক বাঁশখালী এলাকার দলীয় প্রার্থী হিসেবে একজনের নাম ঘোষণা করে কিন্তু চূড়ান্ত মনোনয়ন পান বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান।

পূর্বে মনোনীত ব্যক্তি চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের একজন সনামধন্য সাবেক নেতার ভাগিনা হিসেবে পরিচিত (উল্লেখ থাকে যে, উক্ত সাবেক নেতার সাথে বাঁশখালীর বর্তমান সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে মনোমালিন্যতা ছিল)। প্রসঙ্গতঃ মনোনয়ন বঞ্চিত ব্যক্তির মোস্তাফিজুর রহমানরে উপর ক্ষোভের সঞ্চার হবে এটা সাভাবিক এবং বাস্তবতাও সেটাই। অপর দিকে উক্ত সংসদীয় এলাকার অধিবাসি একজন ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পদের অধিকারী হয়েছেন।

যার ইতোপূর্বে আওয়ামী লীগ বা তার অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততার উল্লেখ যোগ্য কোন প্রমানাধি পাওয়া যায় না। উক্ত আওয়ামী লীগ নেতা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বাঁশখালী এলাকার সংসদ সদস্য মনোনয়ন প্রত্যাশি। যেহেতু তিনি সদ্য আওয়ামী লীগার সেহেতু দলীয় প্রকৃত নেতা কর্মীদের সাথে তার সম্পৃক্ততা ও সখ্যতার সুযোগ কম, তবে তিনি তার মাঠের অবস্থান দৃঢ় করতে জামাত-শিবির, বিএনপি তথা আওয়ামী বিরোধীদের প্রকাশ্যে পৃষ্ঠপোষকতা সহ সার্বিক সহযোগিতা অব্যহত রেখেছে। আওয়ামী লীগ জেলা নেতা হয়ে এভাবে প্রকাশ্যে জামাত শিবির, বিএনপির নেতা কর্মীদের পৃষ্ঠপোষকতাদানে প্রকৃত আওয়ামী নেতা কর্মীরা ক্ষিপ্ত। যার প্রমাণ মেলে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী মৌলভী সৈয়দ আহমেদ এর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দলীয় আয়োজন বর্জন করে মৌলভী সৈয়দ আহমেদ এর নামে আলাদা ভাবে অনুষ্ঠান পালন করা।

উল্লেখ্য যে, মৌলভী সৈয়দ আহমেদ এর মৃত্যু বার্ষিকী প্রায় ২০ বছর যাবত উক্ত এলাকার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সম্মিলিতভাবে পালন করে আসছে, যা সর্বজন বিদিত। এখানে স্বাধীনতা বিরোধী জামাত, বিএনপি আওয়ামী লীগকে দূর্বল করতে পারলে তাদের লাভ অপর দিকে বর্তমান এমপিকে দূর্বল করতে পারলে আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের লাভ।

সার্বিক বিশ্লেষনে ঘটনার নেপথ্যে মূলত নিম্নলিখিত তিনটি বিষয় দৃশ্যমান:

(১) আওয়ামীলীগ এর মনোনয়ন প্রত্যাশিতদের অসুস্থ্য প্রতিযোগিতা।
(২) নব্য আওয়ামী ভাব বাদীদের আধিপত্য বিস্তারে দলীয় নীতি-নৈতিকতা বিরোধী কার্যক্রমে পৃষ্ঠপোষকতা।
(৩) স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের স্বার্থ রক্ষায় আওয়ামীলীগে তাদের মনোঃনিত প্রার্থীকে প্রতিষ্ঠাকরণ প্রক্রিয়া।

উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দদের আজকের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে আমাদের আয়োজনকে সফল করতে সহযোগিতা করার আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আজকের সংবাদ সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করছি।

অনুলিপিঃ
১। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
২। মাননীয় স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকার, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ।
৩। মাননীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ।
৪। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
৫। মাননীয় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ।
৬। চিপ হুইপ, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ।
৭। সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
৮। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সকল সাংসদবৃন্দ।
৯। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সকল নেত্রীবৃন্দ।
১০। চেয়ারম্যান, সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম ৭১।
১১। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব।
১২। সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
১৩। ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ।
১৪। মহাপরিচালক, ডিজিএফআই ও এনএসআই।
১৫। প্রশাসক, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল (ডিজি জামুকা)।
১৬। সকল জেলা প্রশাসকগণ (পদাধিকার বলে প্রশাসক, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ও মহানগর)
১৯। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল, জেলা ও মহানগরের সাবেক সকল নেত্রীবৃন্দ।
২০। জামুকা নিবন্ধিত সকল সংগঠন প্রধান।
২১। দপ্তর নথি।

সংবাদ প্রেরক

মেহেদী হাসান
সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটি
চেয়ারম্যান, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কেন্দ্রীয় সংসদ (নিবন্ধন নং-জামুকা ১৮৯)
প্রধান সমন্বয়কারী, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় জাতীয় কমিটি। #

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *