রবি. মে ১৯, ২০২৪

বাগেরহাট প্রতিনিধি.

বাগেরহাট জেলা মহিলা পরিষদের ১২তম সম্মেলনে সীতা সভাপতি, রিজিয়া সম্পাদকসমতাপূর্ণ লড়াইয়ে নারীরা এখনো পিছিয়ে, সরাসরি নির্বাচনে নারীর অধিকার এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি,
অসাম্প্রদায়িক, গনতান্ত্রিক, সমতাপূর্ণ সমাজ বিনির্মানের স্লোগানকে সামনে রেখে বাগেরহাটে মহিলা পরিষদের ১২তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২তম সম্মেলনে বাগেরহাট জেলা মহিলা পরিষদে অ্যাডভোকেট সীতা রাণী দেবনাথকে সভাপতি এবং উন্নয়নকর্মী রিজিয়া পারভীনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে। শুক্রবার বাগেরহাট শহরের এসিলাহা মিলনায়তনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সম্মেলনে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এরআগে নবনির্বাচিত এই কমিটির সভাপতি সীতা রাণী দেবনাথ ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক রিজিয়া পারভীন ছিলেন লিগ্যাল এইড সম্পাদক। নির্বাচিতরা আগামী তিন বছর এই দায়িত্ব পালন করবেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদা রেহানা রোজী বেলুন উড়িয়ে ১২তম জেলা সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। পরে জেলা মহিলা পরিষদের উদ্যোগে শহরে একটি আনন্দ র‌্যালী বের করা হয়।
বাগেরহাট জেলা মহিলা পরিষদে অ্যাডভোকেট সীতা রাণী দেবনাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোছাব্বেরুল ইসলাম, বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদ হাসান, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম ও বাগেরহাট ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আহাদ উদ্দিন হায়দার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদা রেহানা রোজী বলেন, নারীরা ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে। আমরা চেয়েছিলাম সমতাপূর্ণ লড়াইয়ে নারীরা আসুক সেটাই এসেছে। নারীরা কিন্তু কিছুকিছু ক্ষেত্রে নারীরা পদায়িত হয়েছে, আসলে সেই পদায়িত কি একজন দুজন দিয়ে হলে হবে। নারীর সমতাপূর্ণ পৃথিবী গড়ার জন্য সক্ষমতা আছে। যার যার অবস্থান থেকে সেই সক্ষমতার ব্যবহার করতে হবে। নারীর উন্নতি হচ্ছে। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নারীর উন্নয়নের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তার মানে এই নয় সকল নারী তার সকল অধিকার পেয়ে গেছেন।
নারী আন্দোলনের দাবি হচ্ছে যে নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন তিনি সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন। বর্তমানে ৫০ জন নারী সংসদ সদস্য আছেন তবে তারা সিলেকশন হয়েছেন। আমরা চাই এরা সরাসরি ইলেকশন করে এসে নির্বাচিত হয়ে সংসদে কথা বলুক। নারীদের সমস্যার কথা তুলে ধরুক। নারীর ক্ষমতায়নে কোথায় কোথায় সমস্যা আছে তা তুলে ধরুক। বর্তমানে সংসদে ৫০ নারী সংসদ সদস্য আছেন ঠিকই তবে তারা নারীদের অধিকারের কথা বলতে পারছেন না। ap

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *