প্রতিনিধি বাগেরহাট ঃ
বাগেরহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৯০ হাজার পরিবারের মধ্যে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। রবিবার দুপুরে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা শেষে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।
বাগেরহাট জেলা উন্নয়ন কমিটির সভা’ জুম প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাগেরহাটের সুযোগ্য জেলা প্রশাসক, মো: মামুনুর রশীদ ।বাগেরহাট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল হাকিম বলেন জেলাব্যাপী খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। চলতি বছরের ২য় প্রান্তিকের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। বাগেরহাট জেলার ৮৯৪০২ টি পরিবারের মধ্যে কার্ড প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল প্রতি কেজি ১০ টাকা দরে বিতরন করা হবে। প্রতি কেজি চালে বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী সরকার প্রায় ৩৫ টাকা করে ভর্তুকি দিয়ে হতদরিদ্রের মাঝে ১০ টাকা দরে চাল বিতরন করছে। যা সরকারের এক যুগান্তরকারী পদক্ষেপ।বাগেরহাট জেলায় প্রতিমাসে এখাতে ২৬৮২.০৬০ মে: টন চাল প্রয়োজন হবে। কার্ডধারী উপকারভোগিদের মাঝে যাতে সঠিকভাবে সকল প্রকার অনিয়ম ও দূর্নীতি মুক্তভাবে চাল বিতরন করা যায় সে বিষয়ে জেলা প্রশাসন, স্থানীয় প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগ ব্যাপক সার্বিক তদারকী করছে। ইতোমধ্যে খাদ্যবান্ধব তালিকায় যে সকল ভুয়া, মৃত, স্বচ্ছল ও ভিজিডি কার্ডধারীদের নাম ছিল তা সংশোধন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাগেরহাট সদর উপজেলার কয়েকজন কার্ডধারী বলেন গত মার্চ / ২০ মাস হতে আমরা সঠিক সময়ে আমাদের চাল সম্পূর্ণ হয়রানি ছাড়া উত্তোলন করতে পারছি।
বাগেরহাট সদরের একাধিক খাদ্যবান্ধব ডিলার জানান,কোন প্রকার হয়রানি ছাড়া চাল উত্তোলন ও যথাযথ বিতরণ করা হচ্ছে।বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মুছাব্বেরুল ইসলাম ও সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনোতোষ মজুমদার বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ কার্যক্রম সুষ্টভাবে চলছে। এ কর্মসূচীর অধীন ডিলারদের যে কোন প্রকার অনিয়ম ও দূর্নীতিমুক্ত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্বচ্ছভাবে মহৎ এ কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য মতবিনিময় সভা করা হয়েছে।
খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: মাহবুবুর রহমান বলেন , একই সাথে খুলনা বিভাগে ৬ লক্ষাধিক পরিবারের কার্ডধারীদের মধ্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এরআগে স্বচ্ছতার সাথে এ কর্মসূচী পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়। ইতোমধ্যে খাদ্যবান্ধব তালিকায় যে সকল ভুয়া, মৃত, স্বচ্ছল ও ভিজিডি কার্ডধারীদের নাম ছিল তা সংশোধন করা হয়েছে। বিভাগীয় পর্যায় থেকে নিয়মিত তদারকী চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।