শনি. এপ্রি ২৭, ২০২৪

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর নদী তীরবর্তী সেনাবাহিনীর নির্মিত দেড় মিলোমিটার বেড়িবাঁধ আনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বরিশাল সেনানিবাসের ২৮ পদাতিক বিগ্রেডের কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কাজী আনিসুজ্জামান পিএসসি পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. হাসান ইমামের কাছে নির্মিত বাঁধ বুঝিয়ে দেন। এসময় নির্মিত বাঁধের প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল খুরশিদ আনোয়ার, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মো. শহিনুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাফিন মাহমুদ, শরণখোলা উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শহিন উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা নির্মিত বাঁধ পরিদর্শন করে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে চারশত হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন।
এরআগে সকাল সাড়ে ৯টায় বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাঁধ নির্মানের জন্য ভূমি অধিগ্রনে ক্ষতিগ্রস্ত ২৩ জন গ্রামবাসীকে তাদের বাড়ি এলাকায় গিয়ে ৪৮ লাখ ৩৭ হাজার ৩০৮ টাকার চেক প্রদান করেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক।
সেনাবাহিনী সুত্রে জানাগেছে, ২০২০ সালের ১৬ জুন শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের ভাঙ্গন কবলিত অধিক ঝুকিপূর্ণ বগী থেকে গাবতলা পর্যন্ত ১৭ শত মিটার রিং বাঁধ নির্মানের কাজ শুরু করে বরিশাল সেনাবাহিনীর একটি দল। আট কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি প্যাকেজে দ্রুত গতিতে কাজ শেষ করে প্রায় সাত মাস পরে বৃহস্পতিবার তা হস্তান্তর করা হয়।
২০০৭ সালের ১৫ নবেম্বর ঘুর্ণিঝড় সিডরে বিধ্বস্ত শরণখোলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পূর্ন বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর থেকে এলাকাবাসির দাবীর প্রেক্ষিতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে সাড়ে তিন শত কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে ২০১৬ সালের ২৬ জানুয়ারী ৬৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মানের কাজ শুরু করে সিএইচডাব্লুউ নামের চায়নার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কাজ শুরুর পর থেকে এপর্যন্ত তিন দফা সময় বাড়ানো হলেও এখন পর্যন্ত বাঁধ নির্মানের কাজ শেষ হয়নি। পক্ষান্তরে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সাউথখালীর বগী গ্রামের বাঁধ নির্মানের কাজ বন্ধ রাখা হয়। ফলে প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন সময়ে পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে এলাকাবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হতো। এরপর এলাকাবাসী সোচ্চার হলে রিং বাঁধ নির্মানের দায়িত্ব দেয়া হয় সেনাবাহিনীকে।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *