বাগেরহাট প্রতিনিধি
কোভিড-১৯ পরিস্হিতিতে ও দ্বিতীয়ক্রমে লক ডাউন শুরুর প্রাক্বালে আজ সকালে বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুচি পল্লী, ডোম পল্লী , হিজড়া পল্লী ও যৌন পল্লীর বাসিন্দাদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয় ।এরই ধারাবাহিকতায় বাগেরহাট সকল উপজেলায় ভ্যান গাড়ি চালক , ইজি বাইক চালক , রিকশা চালক , চা বিক্রেতা , দিন মজুর সহ নানা পেশার নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ বলেন ।বাগেরহাটে লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া হিজড়া, যৌনকর্মী, ডোম ও ঝষি সম্প্রদায়ের দেড় শতাধিক জনগোষ্ঠির মাঝে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বৃহষ্পতিবার সকালে বাগেরহাট শহরতলীর খানকা শরীফ, পতিতাপল্লী ও হাড়িখালী এলাকায় যেয়ে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক এসব জনগোষ্ঠির হাতে খাদ্য সহায়তা পৌছে দেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি পরিবারকে ১৫ কেজি করে চাল দেয়া হয়।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর লকডাউনে বাগেরহাটে কর্মহীন হয়ে পড়া দরিদ্র জনগোষ্ঠির মাঝে এই প্রথম খাদ্য সহায়তা দিল প্রশাসন।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশসক (সার্বিক, আইসিটি ও শিক্ষা) মো. রিজাউল করিম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মোছাব্বেরুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন, বাগেরহাট পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তালুকদার আব্দুল বাকি, ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আকতারুজ্জামান বাচ্চ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর তানিয়া খাতুন এসময় সাথে ছিলেন।বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক বলেন, লকডাউনের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বাগেরহাটের কর্মহীন হয়ে পড়া দরিদ্র জনগোষ্ঠির মাঝে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আপাতত সবচেয়ে বেশি অসহায় অবস্থায় থাকা যৌনকর্মী, ডোম, ঝষি ও হিজড়া সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠির মাঝে খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। সরকারও খুব শিগগির লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া নিন্ম আয়ের মানুষদের সহায়তার জন্য বরাদ্দ দিচ্ছে। আগামী কিছু দিনের মধ্যে তাদেরও সহায়তা দেয়া হবে।#