মঙ্গল. মে ১৪, ২০২৪

বাগেরহাট প্রতিনিধি :
বাগেরহাটে দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উদ্ভুদ্ধকরণ সভায় দেশিয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণের প্রয়োজনীতার গুরুত্ব তুলে ধরে ছোট মাছের আশ্রয়কেন্দ্র হারিয়ে যাবার কথা বলা হয়েছে। সভায় আমিষের চাহিদা শতভাগ পূরণ করতে ছোট মাছের সংরক্ষণে গুরুত্বারোপ করা হরা হয়েছে। অপ্রচলিত মৎস্য সম্পদ শামুক, ঝিনুক এবং মুক্তা চাষের গুরুত্ব আরোপ করে সভায় জানানো হয় মাছ চাষের পাশাপাশি খামারিদের মুক্তা চাষ করার সুযোগ রয়েছে। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে বলে জানানো হয়।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) সকালে চিংড়ি গবেশনা কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষ্রে এ উদ্বুদ্ধকরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান। জেলা মৎস্য কর্মকর্তাএস এম রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বুদ্ধসভায়দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক আশিকুর রহমান বক্তৃতা করেন।
দেশিয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় দেশের ৩ বিভাগে ৪৯ উপজেলায় এ প্রকল্প চলমান রয়েছে। তার মধ্যে বরিশাল বিভাগের ৪টি জেলা এ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ২০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প আগামী ২০২৪ সাল নাগাদ চলমান থাকবে। এ প্রকল্পের আওতায় ১৫ হাজার জেলেদের প্রশিক্ষণ দিয়ে মৎস্য চাষে আগ্রহী করে তোলা হবে। ৩০ হাজার জেলেদের বিকল্প পেশায় নিয়োজিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আগের চেয়ে ২০ ভাগ বেশি মৎস্য চাষ বৃদ্ধি পাবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক মো. আশিকুর রহমান ।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন, সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফেরদৌসী আনসারীসহ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাংবাদিক, মৎসজীবী প্রমুখ।rj

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *