প্রতিনিধি শরণখোলাঃ
বাগেরহাটের আম্পান বিধ্বস্থ শরণখোলায় দীর্ঘস্থায়ী বর্ষনের কারনে প্রায় ১৪ হাজার কৃষক বিপাকে। নির্দিষ্ট সময়ে জমি চাষ ও বীজ রোপন করতে না পারায় তারা এ বিপাকের সম্মুখীন হয়েছেন। উপজেলার বকুলতলা গ্রামের চাষী সুলতান মোল্লা,খুড়িয়াখালী গ্রামের আজীজ হাওলাদার, চালিতাবুনিয়া গ্রামের নুরুল ফকির, শরৎ মন্ডল জানান ১৫/২০ দিনের লাগাতার বর্ষনের কারনে কোমর সমান পানিতে মাঠ- ঘাট তলিয়ে ছিলো। ফলে তারা জমি চাষ করতে পারেনি। বীজতলাও ছিলো পানির নীচে। বর্তমানে অনেক এলাকা থেকে বর্ষার পানি নেমে গেলেও অনেক এলাকা এখনও জলমগ্ন। আবার কিছু এলাকার পানি শুকিয়ে সেখানে বীজ রোপনের অযোগ্য হয়ে আছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমনের বীজ রোপন করতে না পারায় ভালো ফলন আসবেনা বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আম্পান বিধ্বস্তরা। তারা জানান, আগের বছর গুলোর তুলনায় তারা এবছর চাষে প্রায় ১৫/২০ দিন পিছিয়ে রয়েছেন।
শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌমিত্র সরকার জানান, শরণখোলায় ৯ হাজার দুই শত পঞ্চাশ হেক্টর জমিতে আমন ধানের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হলেও অতিবর্ষনের কারনে তা বাধাগ্রস্থ হয়েছে। চাষের সময় অতিবাহিত হলেও চাষীরা ব্রী ধান ৫২ ও ৭৬ উফশী জাতের এবং স্থানীয় জাতের প্রায় ২ হাজার একর জমিতে এখনও বীজ বপন করতে পারেনি।