বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলা বন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দুটি ভ্যানযোগে বড় বড় ৮পিস শিশুকাঠের গুড়ি উপজেলা মোড়ে একটি স্মিলে (করাতকল) নেয়া হচ্ছিল। এ সময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল উক্ত গাছের সম্পর্কে জানতে চান। এ সময় ভ্যানের চালকরা জানান বন কর্মকর্তা চিন্ময় মধু তাদের গাছ নিয়ে করাতকলে রাখতে বলেছেন। তখন তিনি গাছ গুলো আটক করে রাস্তার পাশে রাখতে বলেন।
নাম প্রকাশ করার শর্তে চিম্ময় মধুর গ্রামের লোকজন বলেন, চিন্ময় মধু গ্রামের বাড়িতে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের আলিশান বাড়ি করেছেন। একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে যে টাকা বেতন পান তাতে এত বড় বাড়ি করা সম্ভব নয়। অপরদিকে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে চিন্ময় মধু তার নিজের নামে সরকারী বাসভবন (কোয়ার্টার) বরাদ্দ না নিয়ে তার স্ত্রী আড়য়াবর্ণী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা লোপা রানীর নামে দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলা পরিষদের বাসায় বসবাস করছেন। যা সম্পূর্ণ ভাবে নিয়ম বর্হিভূত।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল বলেন, কয়েকব্যক্তি ভ্যানযোগে সন্দেহজনক ভাবে উপজেলা পরিষদের মধ্য থেকে ৮ খন্ড গাছ পার্শবর্তী করাতকলে নিয়ে যাওয়ার সময় আমার নজরে আসে। বিষয়টি ভ্যান চালকদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বন কর্মকর্তা চিন্ময় মধুর কথা বলেন। চিন্ময় মধু গাছ গুলো অবৈধ ভাবে পাচার করছিল বলে সন্দেহ হওয়ায় সে গুলো মিলে না নিয়ে রাস্তার পাশে রাখতে বলা হয়।
বন কর্মকর্তা চিন্ময় মধু পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিন বছর আগে ওই গাছ আমি টেন্ডারের মাধ্যমে ক্রয় করেছিলাম। ওই গাছ দিয়ে ফার্ণিচার তৈরি করা হবে। বিলাশবহুল বাড়িটি আমার নয়। ওটি আমার বাবা হরিদাস মধুর করা। এ সময় তিনি টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ ক্রয়ের কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। বাগেরহাট জেলা বন বিভাগের ডিএফও মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, বন কর্মকর্তা হিসেবে তার টেন্ডার ক্রয় করার কোন নিয়ম নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ লিটন আলী বলেন, গাছের বিষয়টি শুনে বন কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি। তিনি আগামীকাল টেন্ডারের কাগজপত্র দেখাবেন বলে জানিয়েছেন। যদি তিনি বৈধ কাগজপত্র না দেখাতে পারেন তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।