বৃহঃ. মে ১৬, ২০২৪

খুলনা অফিস।
বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।স্বাধীনতার মহান স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের নিহত সকল সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে শোকাবহ ১৫ আগস্ট ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের আয়োজনে উক্ত দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাঙ্গালীর বঞ্চনা লাঘবে ও অধিকার আদায়ে তিনি ছাত্র অবস্থায় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ৫২’র ভাষা আন্দোলনে তিনি ছিলেন সংগ্রামী নেতা ছিলেন। ভাষা আন্দোলন সহ সকল আন্দোলন বেগবান করার জন্য পূর্ব পাকিস্থান মুসলিম ছাত্রলীগ গঠন করেন, তিনি সভাপতি বা সেক্রেটারি হতে পারতেন ছাত্রলীগের কিন্ত তিনি তা না করে সারা দেশ ঘুরে বেড়িয়ে ছাত্রলীগের সংগঠন কে দাঁড় করে গেছেন শুধুমাত্র বাঙ্গালির সাধিকার আদায়ের জন্য। শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ৬ দফা পেশ করেন এবং ৭০ এর নির্বাচনে অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগকে এ দেশের গণমানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতীকে পরিণত করেন। পাকিস্থানের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ সহ বিভিন্ন সংগঠন কে নিয়ে তিনি গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তোলেন এবং ষাটের দশক থেকেই তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের অগ্রনায়কে পরিণত হন। তারই ফল¯্রুতিতে জাতির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ পুরুষ বঙ্গবন্ধুর অমর কীর্তি এই স্বাধীন বাংলাদেশ। কিন্তু উচ্চভিলাশী সামরিক সদস্য জিয়া ও মোস্তাকের ষড়যন্ত্রে ১৫ আগস্ট ভোর রাতে তাকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর জিয়া মোস্তাকরা স্বাধীনতা বিরোধী সহ সকল হত্যাকারীদের এ দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় পুনর্বাসিত করে। তারা এ দেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিলো। সৈরশাসকদের রোষানলে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণও করা যেত না কিন্ত তার আদর্শ ও চেতনা কে তারা মুছে ফেলতে পারি নাই আজ জীবিত মুজিরের চেয়ে মৃত মুজিব অধিক শক্তিশালী। তারপর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ঠেকাতে জিয়া ও মোস্তাকরা কুখ্যাত ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ জারি করেছিলো। তারপার দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসীন হলে ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ উন্মুক্ত করে। দীর্ঘ ৩৫ বছরেরও বেশি সময় পর ২০১০ সালে সেই সব হত্যাকারীদের ফাঁসির মাধ্যমে কলঙ্ক থেকে জাতি মুক্তি পায়।” শোকাবহ ১৫ আগস্ট ও স্বাধীনতার মহান স্থাপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল এসব কথা বলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আরহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। মঙ্গলবার বিকাল ৫ ঘটিকায় দলীয় কার্যালয় এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়। খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজনের সভাপতিত্বে ও খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল এর পরিচালনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা। এসময় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা নূর ইসলাম বন্দ, সাবেক ছাত্রনেতা ও খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড সাইফুল ইসলাম, মহানগর যুবলীগের সাবেক আহবায়ক এ্যাড আনিসুর রহমান পপলু, মহানগর যুবলীগের আহবায়ক সফিকুর রহমান পলাশ, সাবেক ছাত্রনেতা আবু হানিফ, মহানগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতালেব হোসেন, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রণজিত কুমার ঘোষ, খুলনা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ পারভেজ হাওলাদার, মহানগর যুবলীগ সদস্য অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সোহেল বিশ্বাস, তাজমুল হক তাজু, আসাদুজ্জামান বাবু, মাসুদ হোসেন সোহান, রণবীর বাড়ই সজল, মাহামুদুল হাসান শাওন, জব্বার আলী হীরা, ঝলক বিশ্বাস, জহির আব্বাস, জুবী ওয়ালিয়া টুই, পাপ্পু সরকার, জাহিদুর রহমান জাহিদ, জায়েজুল ইসলাম তাজ, দিদারুল আলম, সুমন শেখ, রহমত সরদার, মেহেদী হাসান সুজন, মাহামুদুল ইসলাম সুজন, শেখ শান্ত ইসলাম, শিকদার রাসেল, শেখ সাকিব, সোহান হোসেন শাওন, আরাফাত মিয়া, রেজওয়ান মোড়ল, তায়েজুল ইসলাম তাজ, মাহামুদুর রহমান রাজেস, মোঃ আব্দুল কাদির সৈকত, তরিকুল ইসলাম তুফান, এমএ হোসেন সবুজ, মোঃ আলামিন হাওলাদার, বায়েজিদ সিনা, আসাদুজ্জামান সানি, মোঃ রাজু হোসেন, জোয়েব সিদ্দিকী, চিন্ময় মিত্র, সাইমুন নিয়ত, মশিউর রহমান বাদশা, জিসান আরাফাত, জুয়েল শেখ, শংকর কুন্ড, আবিদুর রহমান, ইমরান হোসেন বাবু, আরফান ইসলাম তুর্য, মেহেদী হাসান সজিব, রবিউল ইসলাম প্রিন্স, রুমান কবির পিকু, সৈকত দাস, গালিব হোসেন, মল্লিক কামরুজ্জামান রাজু, রায়হান শেখ মুন্না, শাহরিয়ান নেওয়াজ রাব্বি, অভিজিৎ সরকার রাহুল, ওমর কামাল, অরিন্দম চত্রবর্তী, শফিকুল ইসলাম মুন্না, রেজয়ান খান রিজু, শরিফুল ইসলাম, জনি বসু, আতিকুর রহমান সাব্বির, রুমান আহমেদ, আতিকুর রহমান সোহাগ, আলী হোসেন, পল্লব হাসান শুভ, সাদ্দাম আল হাসান, রাজিউন ইসলাম রাজু, মাহামুদল হাসান, হাসান শেখ, সাজ্জাদ সাজু, শান্ত চৌধুরি, রাকিব আহমেদ রাব্বি, আবিদ আল হাসান, ইমতিয়াজ মুন্না, সাব্বির হোসেন, রায়হান শিকদার প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে ১৫ আগস্ট শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্টিত হয় এবং দোয়া শেষে সকলের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়।#

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *