শুক্র. এপ্রি ২৬, ২০২৪

 খুলনা অফিসঃ

বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র, আ’লীগ নেতা খান হাবিবুর রহমানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ করার দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন সম্মিলিত জেলা কার্যালয়ে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে দায়ের হওয়া মামলার কথা নিশ্চিত করেন দুদকের উপ-পরিচালক নাজমুল হাসান। লোক নিয়োগ এবং আবাহনী ক্রীড়া কমপ্লেক্স ও ডায়াবেটিস হাসপাতাল নির্মাণ না করে এই পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে মামলা দু’টিতে উলে­খ করা হয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে দায়ের করা প্রথম মামলার (নং-১৭, তাং-২৫/১১/২০২১) এজাহারে বলা হয়েছে কোনরূপ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বিধি না মেনে পাম্প অপোরেট হিসাবে দিপু দাসসহ মোট ১৭ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। ২০১৭ সালের ৩ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ২৫ জুলাই পর্যন্ত মোট এক কোটি ২৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।

এই মামলায় ১নং আসামি হিসেবে বাগেরহাট পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমানসহ মোট ১৭ জনের নামে মামলা করা হয়। এই মামলায় অন্য আসামিরা হলেন দিপু দাস (পাম্প অপারেটর), আসাদুজ্জামান (বাজার শাখার আদায়কারী), জ্যোতি দেবনাথ (সহকারী লাইসেন্স পরিদর্শক), মারুফ বিল­াহ (সহকারী কর আদায়কারী), শহিদুল ইসলাম (সহকারী কর আদায়কারী), শারমিন আক্তার বনানী (বিল ক্লার্ক), হাসান মাঝি (ট্রাক চালক), হাসনা আক্তার (সুইপার সুপারভাইজার), মোঃ জিলানী (সুইপার সুপারভাইজার), তানিয়া (এমএলএসএস), অর্পূব কুমার রায় (পাম্প চালক), মেহেদী হাসান (সহকারী পাম্প চালক), সৌদি করিম (সহকারী কর আদায়কারী), পারভিন আক্তার (সহকারী কর আদায়কারী), সাব্বির মাহমুদ (কর আদায়কারী) ও সেতু পাল (সহকারী হেলপার)। এরা সকলেই পৌরসভার সাবেক কর্মী ছিলেন।

একই বাদীর দায়ের করা অপর মামলার (নং-১৮, তাং-২৫/১১/২০২১), এজাহারে বলা হয়েছে বাগেরহাট ডায়াবেটিকস হাসপাতাল এবং আবাহনী ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ বাবদ দুই কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। পৌর মেয়র এই নির্মাণ কাজ না করেই এই দুই কোটি টাকা হতে এক কোটি টাকা উঠিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেন। এতে আসামি করা হয়েছে বাগেরহাট পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান, সাবেক সচিব বর্তমানে মাগুরা পৌর সভার সচিব মোঃ রেজাউল করিমকে।এ বিষয়ে হাবিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

smk

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *