সোম. মে ১৩, ২০২৪

বাগেরহাট প্রতিনিধি,
বাংলাদেশের উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জন্য সুপেয় পানির সর্বজনীন, ন্যায্য ও টেকসই প্রবেশ গম্যতা নিশ্চিত করতে সরকারি বরাদ্দ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সাথে সাথে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বন্ধ করা, এলাকা ভিত্তিক বড় বড় পুকুর, খাল, জলাশয় খনন করে তাতে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করা, খাসজমিতে মিঠা পানির আধার তৈরি করার দাবিতে ওয়াটার মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস ২০২২ উপলক্ষে (রবিবার)সকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হওয়া ওয়াটার মার্চটি মংলায় শেষ হয়। পানি অধিকার মানবাধিকার, উপকূলীয় সকল মানুষের পানি অধিকার নিশ্চিত কর’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থা এবংএকশন এইড বাংলাদেশ এর আয়োজনে উপকূলজুড়ে পানি অধিকার প্রচারাভিযানের অংশ হিসাবে এ ওয়াটার মার্চ অনুষ্ঠিত হয়।  সারাদিন ব্যাপি এ ওয়াটারমার্চে বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন উপজেলার যুব, নারী, পুরুষ, পানি সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ অংশ গ্রহন করেন। এ ওয়াটার মার্চে অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাঁধনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সোহাগ হাওলাদার, মো: রবিউল ইসলাম, মনিটরিং অফিসার ফারজানা ববি, ফিল্ট ফ্যাসিলেটেটর সেখ শামীম হাচান, শরিফুল ইসলাম সোহান, শায়েলা শিমু, ট্রেইনি অফিসার সামিয়া আক্তার রুপা, এচাড়া বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ এতে বক্তব্য রাখেণ। বক্তারা জানান,বাংলাদেশে উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর পানি অধিকার সুরক্ষা করা না গেলে অন্যান্য মৌলিক মানবাধিকারও তাতে ক্ষুন্ন হবে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পানির সংকট নতুন নয়। সুপেয় পানির সংকট উপকূলীয় ঝুঁকি গুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে পানির উৎস গুলোর লবণাক্ততা, অন্যদিকে ভূ-নিম্নস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় অনেক গভীর নলকূপেও পানি উঠছে না। উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর সুপেয় পানি সংকটকে সুপেয় পানি অধিকার নিশ্চিত করতে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের উপর বক্তারা গুরুত্বারোপ করেন।,im

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *