বন্ধ হয়ে যাওয়া ২৫ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকরা আগামী সপ্তাহের মধ্যে তাদের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে জুন মাসের বেতন পাবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
শুক্রবার (৩ জুলাই) রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে নিজ বাসভবন থেকে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ আশ্বাস দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘নোটিশ মেয়াদের অর্থাৎ জুলাই-আগস্টের ৬০ দিনের মজুরিও উভয় মাসে যথারীতি পরিশোধ করা হবে।’
মন্ত্রী জানান যে পিএফ, গ্র্যাচুইটি ও গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধাসহ শ্রমিকদের অবশিষ্ট সব পাওনার ৫০% তাদের নিজ ব্যাংক হিসাবে এবং বাকি ৫০ শতাংশ নিজস্ব নামে সঞ্চয়পত্র আকারে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে।
সব ক্ষেত্রেই মজুরি কমিশন-২০১৫ এর ভিত্তিতে পাওনা পরিশোধ করা হবে বলেও জানান তিনি।
পাটমন্ত্রী আরও জানান, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতায় পাটকলগুলো পুনরায় চালু হলে এসব শ্রমিক সেখানে কাজে অগ্রাধিকার পাবেন।
এছাড়া অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের পাওনা দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরিশোধের জন্য তাদের ব্যাংক হিসাব নম্বর সরবরাহ করতে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে চলতি মাসেই জুন মাসের বেতন ও আগামী তিন দিনের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের মোট পাওনা জানা যাবে জানিয়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধেশ্বরীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে যখন আমি পাটকলের বিষয়ে জানাই তখন মনে হলো উনি কাঁদছেন। আমি তাকে সব জানিয়েছি। উনি জানিয়েছেন সব পাওনা সময় মতো পেয়ে যাবেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী পাটের চাহিদা বাড়ছে। একটি পাট গাছের প্রতিটি অংশ কাজে লাগে। আমরা পাটকল বন্ধ করছি এটা ঠিক না। এর আধুনিকায়ন হবে।
মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, পাটকল বন্ধ ঘোষণা করা মানে এগুলোকে শেষ করে দেওয়া না। পাটকল পিপিপি প্রকল্পের আওতায় নতুন করে যাত্রা শুরু করবে। আমার দৃষ্টিতে শ্রমিকরা কর্মহীন হচ্ছে না, ভালো জায়গায় যেতে হলে কিছু বেদনা থাকবে। তবে আমার দাবি থাকবে যাতে টাকাগুলো শ্রমিকরা এককালীন পান।