শুক্র. এপ্রি ২৬, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক,

সাজানো ধর্ষনের মামলা থেকে অব্যহতি পেলেন সাংবাদিক সোহাগ ও আইনজীবী মেহেদী,
সাজানো ধর্ষনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলা থেকে খুলনার সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ান ও খুলনার আইনজীবী মেহেদী হাসানকে অব্যহতি দিয়েছে আদালত। গতকাল ২৯ আগস্ট (সোমবার) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারকন বেগম সামসুন্নাহার এ আদেশ দিয়েছেন। ২০২১ সালে ধর্ষনের অভিযোগে ঢাকার মুগদা থানায় দায়ের হওয়া ৯(১) ধারার মামলাটি চার্জগঠনের শুনাণীর পর গতকাল (সোমবার) আদেশের জন্য দিন নির্ধারিত ছিলো। সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ান ও আইনজীবী মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক না হওয়ায় চার্জ গঠন করেননি আদালত। মামলা থেকে তারা দু’জনই অব্যহতি পেলেন।

খুলনায় একটি জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দৈনিক সময়ের খবরের নিজস্ব প্রতিবেদক সোহাগ দেওয়ান ও সালিশীতে যুক্ত হওয়ায় এড. মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে ঢাকায় ষড়যন্ত্রমূলক এ মামলাটি দায়ের করা হয়। মুগদা থানার মামলা নং ৪১ (৩) ২১। পরবর্তিতে নারী ও শিশু মামলা নং ১৩০/২২ ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারিক কার্যক্রমের জন্য প্রেরিত হয়। মামলাটির বাদি খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাধিন করিম নগর মসজিদ এলাকার মৃত আব্দুল ওহাব খাঁনের মেয়ে ফরিদা ইয়াসমিন মনি। সে বসুপাড়া কবরখানা এলাকার টাওয়ার ওয়ালা গলির শহিদুল ইসলামের বাড়ির ৫তলায় ভাড়া থাকেন।

এছাড়া সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ানকে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প জালিয়াতি করে ফাঁসানোর চেষ্টায় অপর একটি মামলা সিআর ১৩১/২০ এর রায় গত ২৫ আগস্ট ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাজেশ চৌধুরী। রায়ে ওই মামলার বিবাদী খুলনার সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ানকে খালাস দেয়া হয়। দুটি মামলা আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মোঃ শফিকুল ইসলাম স্বপন ও এড. আবুল বাসার। খুলনার সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ান ক্রাইম রিপোর্টার এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, বর্তমানে খুলনা কোর্ট রিপোর্টার ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে তার সহায়তা ও গুরুত্বপুর্ন ভূমিকার জন্য ২০১৯ সালে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেয়েছেন। খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এড. মেহেদী হাসান একজন এপিপি। এছাড়া তিনি বারের নির্বাচনে কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত প্রতিনিধি ছিলেন। এবিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী মোঃ শফিকুল ইসলাম স্বপন বলেন, ধর্ষনের অভিযোগের মালাটি বিজ্ঞ আদালতে সত্য নয় বলে প্রতিয়মান হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত বিচার বিশেষন করেই, ন্যায় বিচারের সার্থে আদেশ দিয়েছেন।

jl

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *