মঙ্গল. মে ২১, ২০২৪

নিজেস্ব প্রতিবেদক :

দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করছে কৃতজ্ঞ জাতি। মহান একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষভাগে এই দিনে বাঙালির জয় যখন সুনিশ্চিত তখন এদেশের দোসরদের সহযোগিতায় পাক হানাদার বাহিনী হত্যা করেছিল শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ হাজারো বুদ্ধিজীবীকে। সেই থেকে ১৪ ডিসেম্বর দিনটিকে জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে, পালন করে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে।

সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধে ভোরের আলো ফোটার আগেই মানুষের ঢল নামে। সকাল ৭টা ১০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষ থেকে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকীব আহমেদ চৌধুরী শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। নীরবতা পালনের মাধ্যমে তার শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের সময় বিউগলে বেজে উঠে করুন সুর।

এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। পরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনাই ছিল অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, বাঙালি জাতীয়তাবাদ। অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির লক্ষ্য নিয়ে জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম।

শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো আখতারুজ্জামান বলেন, ভাস্কর্য বিরোধীরা মানবতাবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পরেও সেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এখনও ষড়যন্ত্র করছে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আমাদের শপথ হবে এদের যে বিষবৃক্ষ এখনও ডালপালা বিস্তার করে আছে, তা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সমূলে উৎপাটন করবো।এদিন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন ছাড়াও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মার্ক্সবাদী), জাসদ, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, তরিকত ফাউন্ডেশন ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

 

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *