শুক্র. মে ৩, ২০২৪

বাগেরহাট প্রতিনিধি,

তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় ৮ জন আহতের অভিযোগ,
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার মাধবকাঠি এলাকায় তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় ৮জন আহত হয়েছেন। রবিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ধোপাখালি ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুল মাঝি এই অভিযোগ করেছেন। এসময়, কচুয়া উপজেলার ধোপাখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান শেখ, সাইফুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা ইয়ার আলী, মাসুদ হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে মোঃ সাইদুল মাঝি বলেন, ২৮ জুলাই রাতে কচুয়া উপজেলা সদরে ফুটবল খেলা দেখে ফেরার পথে পূর্ব শত্রুতার জেরে মাধবকাঠি এলাকার জাকির হাজরা, শিবির ক্যাডার আঃ কাদের হাওলাদার, এস্কেন্দার হাওলাদারসহ কয়েকজনের সাথে আমাদের কথা কাটাকাটি হয়। এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগে ২০ থেকে ২২ জনের একটি দল আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমিসহ, মাসুদ হাওলাদার, নজরুল সরদার, আবুল হাশেম, নুর ইসলাম, মোঃ মোজাফফর, লিটন শিকদার, শহিদ শিকদার আহত হই। এদের মধ্যে নজরুল সরদার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং আবুল হাশেম বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কিন্তু এই হামলার ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নিতে জাকির হাওলাদার মাদকদ্রব্য বিক্রয় সংক্রান্ত একটা প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। এছাড়া ধোপাখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেনেরে ছেলে শাহিন ঘটনার সময় দেপাড়া বাজারে মোটরসাইকেল মেরামতের কাজ করছিলেন। কিন্তু জাকির হোসেন শাহিনকে জড়িয়েও নানা কথা বার্তা বলছেন। তাতে আমাদের সকলের মানসম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
ধোপাখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন বলেন, একটা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাধবকাঠি এলাকায় জাকির ও সাইদুল মাঝির লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মূলত স্থানীয় কিছু জামাত ও শিবিরের লোকজন নিয়ে জাকির এলাকা অশান্ত করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। শিবির ক্যাডার আব্দুল কাদের ও জাকিরের বিচার দাবি করছি আমরা।
তবে সাইদুল মাঝির অভিযোগ অস্বীকার করে জাকির হাজরা বলেন, সাইদুল মাঝি, শাহিন ও মাসুদ হাওলাদারের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা হয়েছে। তাদের হামলায় আমাদেরও ৮জন আহত হয়েছে।##

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *