এইচ এম জাকির ঢাকা
ঃ
এইচ এম জাকির ঃ
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় শ্রমিক লীগের আসন্ন সম্মেলনে তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে আলোচনায় রয়েছেন এসএম কামাল হোসেন। বর্তমানে মতিঝিল থানা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতির গুরুদায়িত্ব দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করছেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। শরীয়তপুরের সন্তান এসএম কামাল হোসেন পেশায় এক জন ব্যবসায়ী তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তার বাবা মোহাম্মদ হানিফ শিকদার বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, চাচা ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ধানকাটি ইউনিয়নের সহ-সভাপতি। পারিবারিক ভাবেই তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তিনি ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত উত্তর বাড্ডা ২১ নং ওয়ার্ড পুকুরপাড় ইউনিট ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত গুলশান থানা ২১ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ কর্মী ২০০১ থেকে ২০০৮ মতিঝিল থানা নির্মাণ শ্রমিক লীগ সভাপতি ২০০৮ থেকে ২০১৩ বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক লীগ ঢাকা মহানগর সভাপতি ও ২০১৩ থেকে বর্তমান পর্যন্ত মতিঝিল থানা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। পেশায় ব্যবসায়ী এসএম কামাল হোসেন বিভিন্ন ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত। সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা মরহুম আব্দুর রাজ্জাক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একাধিকবার শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হাবিবুর রহমান সিরাজ এর আহবানে সাড়া দিয়ে তার রাজনৈতিক শুরু অদ্যাবধি তিনি রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত।বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতি করতে এসে তিনি একাধিকবার মামলা হামলার শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তাঁর অপরিসীম ত্যাগ রয়েছে। একাধিকবার তিনি গুলির শিকার হয়েছেন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর পরই ঢাকা মহানগরীর ২১ নং ওয়ার্ড বি এন পির কমিশনার কাইয়ুম বাহিনীর হামলার শিকার হয়ে গুলিবিদ্ধ হন পরে তিনি ওই এলাকা ত্যাগ করতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে তিনি মতিঝিলে রাজনীতি নতুনভাবে শুরু করেন এবং এক-এগারোর সময় বিএনপি-জামায়াত এর নেতা কর্মীদের দ্বারা মিথ্যা মামলায় সাড়ে সাত মাস কারাভোগ করেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে সাবেক ৩২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ সাবেক ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন এমপি দাউদকান্দি ৯ আসনের এমপি মেজর জেনারেল সুবিদ আলী ভূঁইয়া সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এমপির হস্তক্ষেপে তার মামলাগুলো রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে মতিঝিল থানা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি হিসেবে তিনি রাজনীতি শুরু করেন এবং অদ্যবধি রাজনীতির মাঠে সম্পৃক্ত আছেন। মতিঝিল থানা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি হিসেবে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সহিত তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছেন
নেতাকর্মীদের যে কোন বিপদ আপদে যখনই তার শরণাপন্ন হন তিনি তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে তার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন সমাধান করার জন্য। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিপদে-আপদে পাশে থাকার দরুন তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিকট তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা মনে করেন এসএম কামাল হোসেনের মতো যোগ্য দক্ষ লোক যদি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি গুরু দায়িত্ব পালন করতে পারেন তাহলে ঢাকাদক্ষিণ জাতীয় শ্রমিক লীগ সাংগঠনিক ভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী এবং সুসংগঠিত হবে। পাশাপাশি নেতাকর্মীরা তার নেতৃত্বে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে পারবেন। এসএম কামাল হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ শ্রমিক লীগ এর আসন্ন সম্মেলন নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আমাকে অত্যন্ত ভালোবাসেন তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে আমি ঢাকাদক্ষিণ জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ আমাকে যদি যোগ্য মনে করেন আমাকে যদি সুযোগ দেন তাহলে আমি ঢাকা দক্ষিণ জাতীয় শ্রমিক লীগকে অত্যন্ত শক্তিশালী এবং সাংগঠনিকভাবে সুসংগঠিত করে গড়ে তুলবো। আমি পর্যায়ক্রমে ছাত্রলীগ নির্মাণ শ্রমিক লীগ থেকে বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের রাজনীতি করতে করতে এই পর্যায়ে এসেছি। রাজনীতি করতে যেয়ে অনেক ব্যর্থতা যেমন রয়েছে তেমনি অনেক সফলতাও রয়েছে। মতিঝিলে জাতীয় শ্রমিক লীগ এক সময় ছিল অগোছালো অব্যবস্থাপনায় ভরপুর সেখান থেকে দলকে টেনে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে এসেছি।মতিঝিল শ্রমিক লীগ আজকে শক্তিশালী এবং সুসংগঠিত সকলের মধ্যে শৃঙ্খলা বিরাজ করছে। যে সকল শ্রমিক নেতা কর্মীরা অসচ্ছল দুঃস্থ ছিল তাদেরকে রিক্সা স্কুল কোচ অর্থনৈতিক সহযোগিতা সহ নানা ভাবে কর্মসংস্থানের চেষ্টা করেছি। তারা যেন তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে দুবেলা-দুমুঠো খেয়ে শান্তিতে থাকতে পারে তার জন্য আপ্রাণ সহযোগিতা করেছি।২০/২৫ জন থানা শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীদের নামে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের কর্তৃক মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা ছিল সে সমস্ত মামলা থেকে তাদেরকে নিজে অর্থ দিয়ে অব্যাহতি দেওয়ার ব্যবস্থা করি। ৮ নং ওয়ার্ড জাতীয় শ্রমিক লীগের অফিসে ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের সময় অফিসে আগুন দেয় সে সময় তাদেরকে প্রতিহত করি। বিএনপির জ্বালাওপোড়াও আন্দোলনের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখি এবং তাদের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলি তাদেরকে প্রতিহত করি। হেফাজতের আন্দোলনের সময় মতিঝিল থানা জাতীয় শ্রমিক লীগ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আমার নেতৃত্বে সেখা।