বৃহঃ. মে ১৬, ২০২৪

প্রতিনিধি বাগেরহাট।

বাগেরহাটে চোখ ওঠা রোগীরা সেবা নিতে ছুটছেন কমিউনিটি ক্লিনিকে,
শীত মৌসুম আসার আগমুহুর্তে বাগেরহাট জেলায় হঠাৎ করে দেখা দিয়েছে চোখ ওঠা রোগ। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মাঝে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে চোখের এ রোগটি। চোখ লাল, ফোলা, ব্যথা নিয়ে এসব রোগীরা ছুটে আসছে প্রান্তিক মানুষের ভরসার স্বাস্থ্যকেন্দ্র কমিউনিটি ক্লিনিক গুলিতে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র ও জেলা হাসপাতালেও প্রতিদিন চোখ ওঠা রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চোখের ড্রপের জন্য ঔষধের দোকান গুলিতে ভীড় করছে সাধারন রোগীরা। হটাৎ করে এ রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় চোখের ড্রপ এর সংকট দেখা দিচ্ছে বলে জানান ফার্মেসি মালিকরা। ঔষধ বিক্রেতারা বলছেন চোখের এ রোগটি বেশ কয়েক বছর ধরে খুব একটা দেখা যেতনা। তাই এ জাতীয় ড্রপ দোকানে কম রাখা হতো। হঠাৎ করে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় যে স্বল্প সংখ্যক ড্রপ ছিল তা রোগীরা নিয়ে নিচ্ছে। বাগেরহাট সদর উপজেলার মুক্ষাইট কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিদিনই ৮/১০ জন করে চোখের এমন সমস্যা নিয়ে ক্লিনিকে সেবা নিতে আসছে । রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা না থাকায় অনেকের চোখের ভোগান্তি জটিল হয়ে পড়ছে এবং মুহুর্তেই আক্রান্ত ব্যাক্তিদের সংস্পর্শে থাকা অন্যরাও আক্রান্ত হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের চিকিৎসকদের গাইডলাইন নিয়ে আমরা এ সকল রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসাসহ সচেতনতামূলক পরামর্শ প্রদান করছি। মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বেতকাশি কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার ওহিদুল তালুকদার বলেন, প্রতিদিনই চোখ ওঠা রোগীরা সেবা নিতে আসছে। এমনও দেখা যাচ্ছে পরিবারের সকল সদস্যরাই একসাথে আক্রান্ত। আমাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা ও সচেতনতামুলক পরামর্শ মেনে কম ভোগান্তিতেই সুস্থ হয়ে যাচ্ছে। অবস্থা জটিল হলে উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে রেফার করছি। এ বিষয়ে বাগেরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: প্রদীপ কুমার বকসি বলেন, চোখ ওঠা বা কনজাংটিভিটি রোগটি ছোয়াচে রোগ। আক্রান্ত রোগীর ব্যাবহারকৃত কাপড় বা কোন কিছু অন্যরা ব্যাবহার করলে এটি তাদেরও আক্রান্ত করে। একটু সচেতন থেকে প্যারাসিটামল ও এন্টি হিস্টামিন খেলে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে যায়। অবস্থা জটিল হয়ে পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চোখের ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে চোখ কচলানো বা ঘষা যাবেনা, পরিস্কার কাপড় ভিজিয়ে চোখ পরিস্কার করতে হবে, বাহিরে বের হলে চশমা ব্যাবহার করতে হবে। একটু সচেতন থাকলে এ রোগে ভয়ের কিছু নাই। প্রত্যন্ত অঞ্চলে জনগনের দোরগোড়ায় প্রতিষ্ঠিত কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সেবা পেয়ে তৃনমূলের জনগন খুব উপকৃত। কমিউনিটি ক্লিনিকের সার্বিক উন্নয়নে সরকারকে আরও অধিক গুরুত্ব দেয়ার দাবী জানান তৃনমূলের জনগন।

চোখ ওঠা রোগীরা সেবা নিতে ছুটছেন কমিউনিটি ক্লিনিকে

বাগেরহাটে চোখ ওঠা রোগীরা সেবা নিতে ছুটছেন কমিউনিটি ক্লিনিকে,

শীত মৌসুম আসার আগমুহুর্তে বাগেরহাট জেলায় হঠাৎ করে দেখা দিয়েছে চোখ ওঠা রোগ। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মাঝে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে চোখের এ রোগটি। চোখ লাল, ফোলা, ব্যথা নিয়ে এসব রোগীরা ছুটে আসছে প্রান্তিক মানুষের ভরসার স্বাস্থ্যকেন্দ্র কমিউনিটি ক্লিনিক গুলিতে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র ও জেলা হাসপাতালেও প্রতিদিন চোখ ওঠা রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চোখের ড্রপের জন্য ঔষধের দোকান গুলিতে ভীড় করছে সাধারন রোগীরা। হটাৎ করে এ রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় চোখের ড্রপ এর সংকট দেখা দিচ্ছে বলে জানান ফার্মেসি মালিকরা।

 

#az

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *