মঙ্গল. এপ্রি ৩০, ২০২৪

বাগেরহাট প্রতিনিধি,
সময়ের সাথে সাথে ঘূর্ণিঝড় “মোখা”র যতই উপকূলের দিকে ধেয়ে আসচ্ছে আতঙ্ক বাড়ছে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে। এরই মধ্যে আবাহাওয়া বিভাগ শুক্রবার বিকালে মোংলা বন্দরে ৪ নম্বর হুশিয়ারি সতর্ক সংকেত জারি করেছে। এর আগে মোংলা বন্দরের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় করণিয় ঠিক করতে বৈঠক করেছে মোংলা বন্দও কর্তৃপক্ষ। মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেল থেকে সব লাইটার জাহাজকে সরে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে মোংলা বন্দরে পন্যবাহী ১১টি বানিজ্যিক জাহাজ, নৌবাহিনী ও কেস্টগার্ডের আরো ৯টি জাহাজ অবস্থান করছে। এদিকে বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখা রাখা হয়েছে ৪৪৬টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ৮৪টি মেডিকেল টিমসহ নৌবাহিনী, কেস্টগার্ড, রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিসসহ তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবক।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার শাহিন মজিদ জানান, ধেঁয়ে আসা সুপার সাইক্লোন মোখায় আবাহাওয়া বিভাগ শুক্রবার বিকালে ৪ নম্বর হুশিয়ারি সতর্ক সংকেত জারির পর মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দরে এলার্ট নম্বর -‘২’ জারি করেছে। এরপরই মোংলা বন্দরের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় করণিয় ঠিক করতে বৈঠক করেছে করা হয়েছে। মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেল থেকে সব লাইটার জাহাজকে সরে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে, বন্দরে অবস্থানরত বাণিজ্যিক জাহাজে পণ্য ওঠা-নামার কাজ এখনই চলছে। সতর্ক সংকেত আরও বাড়ানো হলে বন্দরে পন্য ওঠা-নামার বন্ধ করা হবে। বর্তমানে মোংলা বন্দরে পন্যবাহী ১১টি বানিজ্যিক জাহাজ, নৌবাহিনী ও কেস্টগার্ডের আরো ৯টি জাহাজ অবস্থান করছে।
অপরদিকে, জেলার শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলায় ১০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড। সুন্দরবনে থাকা পর্যটকসহ বনজীবীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে কোস্টগার্ডের সাথে কাজ করেছে বনবিভাগ। সাগর উত্তাল থাকায় জেলার কয়েক শত ফিশিং ট্রলার সুন্দরবন ও বাগেরহাটের বিভিন্ন মৎস্য বন্দরে আশ্রয় নিয়েছে।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বের্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ জানান, জেলার ৩৩৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলায় ১০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। অর্থ বরাদ্দ না থাকায় তা মেরামত করা সম্ভব হয়নি।
কোস্টগার্ড মোংলা পশ্চিম জোন সদর দপ্তরের অপারেশন কর্মকর্তা লেফট্যানান্ট কমান্ডার তারেক আহমেদ জানান, ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় থেকে সুন্দরবনসহ উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর লোকজনকে সাইক্লোন শেল্টারে নেয়ার পাশাপাশি কোস্টগার্ড স্টেশনে আশ্রয় প্রদান করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় কোস্টগার্ডের সকল জাহাজ, বোট, স্টেশন, আউটপোষ্ট এবং ডিজাস্টার রিসপন্স এন্ড রেস্কিও টিম প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাগেরহাটের পুর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় সুন্দরবন বিভাগের সকল কর্মকর্তা কর্মচারিদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বন কর্মকর্তা কর্মচারিদের নিরাপদ থেকে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। সুন্দরবন ত্যাগ করতে পর্যটকসহ বনজীবীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। mn

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *