সোম. এপ্রি ২৯, ২০২৪

বাগেরহাট প্রতিনিধি,
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে দুবলার চরের শুঁটকি পল্লীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নষ্ট হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার কুইন্টাল মাছ। এতে ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২৭ কোটি টাকা। সরকার রাজস্ব হারিয়েছে ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া ঝড়ের তান্ডবে পাঁচ শতাধিক জেলেঘর, দুই শতাধিক শুঁটকি সংরক্ষণের ঘর ও আলোরকোলের শতাধিক দোকানির ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও মালামাল মিলিয়ে আরও ক্ষতি হয়েছে আড়াই থেকে তিন কোটি টাকার। মৌসুমের শুরুতেই অপুরনীয় ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, শনিবার সকালে শুঁটকি উৎপাদনকারী মাঝের কিল্লা, আলোরকোল, নারকেলবাড়িয়া, শ্যালার চরসহ চারটি চর পরিদর্শন করেছি। সব চরেই ঝড়ের ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি মাচা, চাতাল ও আড়ায় থাকা ৩৫ থেকে ৪০ হাজার কুইন্টাল মাছ পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। ঢেকে রাখা আংশিক শুঁকনা মাছে পানি লেগে পোকায় ধরেছে। এদিয়ে আর শুঁটকি হবে না।
মো. খলিলুর রহমান বলেন, মৌসুমের প্রথম ঝড়ে মহা বিপর্যয় নেমে আসে শুঁটকি পল্লীতে। কাচা মাছ, শুঁটকি ও অন্যান্য মিলিয়ে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকার। নষ্ট হওয়া মাছ থেকে যে পরিমান শুঁটকি পাওয়া যেতো তাতে আমাদের (সরকারের) রাজস্ব আয় হতো ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।##mn

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *