শনি. মে ৪, ২০২৪

 

মাসুম হাওলাদার ;

শসার ফলনে খুশি কৃষক
করোনার পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তা থেকে মুখে হাসি ফুটেছে বাগেরহাটে শসা চাষিদের। একটু দেরিতে হলেও ফলন ও বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি।
প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে ওঠে পরিবারের সবাই মৎস্য ঘেরের পাড়ে লাগানো সবজি ক্ষেত থেকে শসা তুলে নিজ বাড়ির সামনের রাস্তায় এনে বিক্রি করছেন ফরিয়াদের কাছে। প্রতিদিন বাগেরহাট জেলা থেকে ৮০ থেকে ৯০ ট্রাকে শসা যাচ্ছে দেশের বড় শহর গুলোতে।
বাগেরহাটের কচুয়া, বাগেরহাট সদর, চিতলমারী, ফকিরহাট ও মোল্লাহাট উপজেলায় শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে এর মধ্যে সব থেকে বেশি শসা উৎপাদন হয় চিতলমারী উপজেলায়।
এই উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কয়েকশ টন্ শসা ক্রয় করে বিভিন্ন জেলায় পাঠায় ব্যবসায়ীরা। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও শসার বাম্পার ফলন ও ভাল দামে খুশি কৃষকরা।
কৃষক কামরুল ইসলাম বলেন, এক একর জমিতে শসার চাষ করেছি। গেল দশ দিন থেকে বিক্রি শুরু করেছি। প্রতিদিন ৫ থেকে ৮ মন পর্যন্ত শসা বিক্রি করি। এবার ফলনও যেমন বেশি হয়েছে।দামও মোটামুটি ভাল পাচ্ছি। ব্যবসায়ীদের কাছে ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি অথবা ৪‘শ থেকে ৬‘শ টাকা মন বিক্রি করছি।
বিশ্বজিত বড়াল বলেন, এবছর ১০ একর জমিতে শসার চাষ করেছি। তিন লক্ষ টাকা ব্যয় করেছি। বর্তমানে প্রতিদিন একশ মনের উপরে শসা বিক্রি করছি।যদি বাজার ভাল থাকে খরচ শেষে এবছর শসায় দশ টাকা লাভ হবে।
বাগেরহাট জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ৬ হাজার ২ শ ৭৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ শুরু হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ২৫ থেকে ৩০ মেট্রিকটন সবজি উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা রয়েছে।তবে জেলায় এবছর ৫০ হাজার টনের বেশি শসা উৎপাদন হবে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় এই শসা যাচ্ছে।কোন প্রকার দালাল ছাড়া সরাসরি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করায় কৃষকরাও লাভবান হচ্ছেন।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রঘুনাথ কর ও
উপ-সহকারী উদ্ভীদ সংরক্ষণ অফিসার,উপজেলা কৃষি অফিস বাগেরহাট সদর শিকদার সরোয়ার আলম
বলেন, বাগেরহাট জেলায় সবজি আবাদের উপর অতিরিক্ত জোর দেওয়া হয়েছে। সরকার সময়মত বীজ, সার ও ঋণ প্রবাহ সচল রেখেছেন।
যার ফলে এবছর বিভিন্ন সবজি বিশেষ করে শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। এবছর বাগেরহাটের কয়েকটি উপজেলায় ৫০ হাজার টন শসার ফলন হবে। আমরাও কৃষকদের সব ধরণের কারিগরি সহযোগিতা ও বাজারজাত করণের পরামর্শ দিয়েছি।যাতে কৃষকরা লাভবান হতে পারে সেজন্য আমাদের সব ধরণের চেষ্টা রয়েছে।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *