শুক্র. মে ১৭, ২০২৪

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

 অ-পরিকল্পিতভাবে বহুতল ভবন নির্মান  কাজ শুরু করায় কারাগারের নিরাপত্তা বিঘ্নত

,
বাগেরহাট জেলা কারাগারের পাশে সীমানার নির্ধারিত জায়গা না ছেড়ে বহুতল ভবনের নির্মান কাজ শুরু করায় স্থানীয় জন ভোগান্তির পাশাপাশি কারাগারের নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। জুডিসিয়াল মুন্সিখানার সহকারী কমিশনারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে বে-আইনীভাবে বহুতল ভবনের কাজ বন্দের জন্য বাগেরহাট পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে স্থানীয়দের পক্ষে বাগেরহাটের প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা সরদার আনোয়ার হোসেন সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শনিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তরে প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ¦ সরদার আনোয়ার হোসেন বলেন, গনপুর্ত বিভাগ সরকারী সীমানার জায়গা ছেড়ে বাগেরহাট কারাগারের ওয়াল নির্মান করেছে, পাশ^বর্ত্তি জমির মালিকরাও নির্ধারিত জায়গা ছেড়ে তাদের স্থাপনা করেছে। অথচ, গোবরদিয়া খানজাহান পল্লীর সামছু তরফদারের ছেলে মিঠু তরফদার সকল নিয়ম-নীতি লংঘন করে সীমানার জায়গা না ছেড়ে কারগারের পাশেই বহুতল ভবন নির্মান শুরু করেছে। ইতোমধ্যে দ্বিতলভবনের ছাদ দেয়া হয়েছে। সীমানার জায়গা না ছেড়ে সকল নিয়মনীতি লঘংন করে বহুতল এ ভবন নির্মানের কাজ করায় জেলা কারাগারের নিরাপত্তা ও ভাবমুর্ত্তি নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় এলাকাবাসীর যাতায়াত পথ বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিকারে কারামহাপরিদর্শক বাগেরহাট জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে আবেদন করা হলেও কোন প্রতিকার হয়নি। জানা গেছে, মিঠু তরফদারের এক আত্মীয় সচিব হওয়ায় এখানের জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর এ বিষয়ে নীরব রয়েছে। প্রবীন ও বিজ্ঞ এই নেতা সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, কারাগারের পাশে বে-আইনীভাবে বহুতল ভবন নির্মান করায় কারাগারের নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার আশংকা করে বাগেরহাট কারাগারের জেল সুপার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মাদ মোজাহেরুল হক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কারা মহাপরিদর্শক, কারা উপ-মহাপরিদর্শক গনপূর্ত বিভাগ ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট বরাবরে প্রতিবেদন দিয়েছেন। জুডিসিয়াল মুন্সিখানা থেকে সহকারী কমিশনার বাগেরহাট পৌরসভার প্রধান নির্বাহী বরাবরেও বিষয়টি প্রতিকারের জন্য বলেছেন। অথচ কোন প্রতিকার নেই। এ বিষয়ে প্রতিকারে কেহ আসছে না। বরং নির্মানাধীন ওই ভবনে  ইতোমধ্যে মাদকের আসর বসিয়ে স্থানীয়দের অতিষ্ট করেে তুলেছে। তাই অন্তর জ্বলে যায়, কিন্তু কিছু করতে না পেরে উপায়ন্তর না পেয়ে জনস্বার্থে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করে বৃদ্ধ বয়সে এসে এই সংবাদ সম্মেলন করছি।

এ বিষয়ে ভবনের মালিক মিঠু তরফদার বলেন,জেলা কারাগারের বাউন্ডারী ওয়ালের পাশে তাদের দেড় ফুট জায়গা রয়েছে এর পরেও আমি ৬ইঞ্চি জায়গা ছেড়ে বিল্ডিং করেছি ।
এবং দুইতলা করেই আমি ভবন নির্মান বন্ধ করেছি।
বাগেরহাটের জেলা কারাগারের সুপার কামরুল হুদা বলেন,স্থানীয়দের হাটার জন্য তিনফুট জমি ছেড়ে আমাদের বাউন্ডারি ওয়াল নির্মান করা হয়েছে।নিয়ম অনুযায়ী অন্যপাশের জমির মালিকও তিনফুট ছেড়ে ভবন নির্মান করবেন।কিন্তু মিঠু তরফদার ভবন ও বাউন্ডারি ওয়াল নির্মানের ক্ষেত্রে কোন জমি রাখেননি।তারপরও তিনি দুইতলা ভবন নির্মান করেছে।যার ফলে জটিলতা তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন,মিঠু তরফদার যখন ভবন নির্মান করে তখন তাকে মৌখিকভাবে জমি রেখে ভবন নির্মান করতে বলা হয়েছিল।কিন্তু তিনি আমাদের নিশেধ শোনেননি। ভবনের বিষয়ে আমরা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিতভাবেও জানিয়েছি।

#

az

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *