রবি. এপ্রি ২৮, ২০২৪

প্রতিনিধি বাগেরহাট।

পূর্ব-সুন্দরবনের কটকা এলাকায় অবৈধভাবে মাছ শিকারকালে ১৮টি ট্রলারসহ ৫৫ জেলে আটক,
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরনখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে মাছ আহরনকালে ১৮ টি মাছ ধরা ট্রলারসহ ৫৫ জন জেলেকে আটক করেছে বনরক্ষীরা। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার ভোররাতে শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মোঃ সামসুল আরেফিন নিজেই বনরক্ষীদের নিয়ে অভিযান চালিয়ে ট্রলারসহ ওই জেলেদের আটক করেন। আটক জেলেদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দেয়া হবে বলে বন বিভাগ জানায়। কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সাদিক মাহমুদ জানান, আটক হওয়া ট্রলারের মধ্যে ১০ টি ট্রলার গত শুক্র ও শনিবার সাগরে ইলিশ আহরনের জন্য দুবলা জেলে পল্লী টহল ফাঁড়ি থেকে পারমিট গ্রহন করে। গত রাতে সাগর উত্তাল হওয়ায় তারা কটকার ওই খালে আশ্রয় নেয়। ট্রলারগুলির মধ্যে ১০টি ইলিশ ধরা জাল ও ৮টিতে ক্ষুদ্র ফাঁসের জাল পাওয়া গেছে। আটক জেলেদের বাড়ি শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর ও পাথরঘাটা উপজেলার পদ্মা স্লুইস এলাকার বলে তিনি জানান। অভিযোগ রয়েছে বন বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা অনৈতিক সুবিধা নিয়ে এসব জেলেদের অবৈধভাবে মাছ ধরা সুযোগ করে দেয়। এরা কীটনাশক ব্যবহারসহ নানা কৌশলে মাছ শিকার করে আসছে। সরকারের মাছ ধরা নিষিদ্ধকালীন সময়েও অসাধু জেলেরা সুন্দরবনে প্রবেশ করে অবৈধভাবে মাছ শিকার করে আসছে। যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে এসিএফ নিজেই রবিবার ভোর রাতে অভিযান চালায় এবং হাত-নাতে জেলেদের আটক করে। জেলেদের পরিবার থেকে বলা হয় সুন্দরবনে অবৈধভাবে প্রবেশের সুযোগ করে দেয়া বনরক্ষীদের কোন শাস্তি হয় না। শাস্তি হয় শুধু দরিদ্র জেলেদের। বাগেরহাট সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ বেলায়েত হোসেন সাংবাদিকদের জানান, সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনের জন্য রেঞ্জে কর্মকর্তা কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় যায়। এ সময় কটকার কাদেরের খালে অবৈধভাবে প্রবেশ করা ১৮টি মাছ ধরা ট্রলার দেখতে পান। সাথে সাথে অভিযান চালিয়ে ট্রলারসহ ৫৫ জেলেকে আটক করেন তিনি। আটক জেলে ও ট্রলারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।#

az

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *