শুক্র. মে ৩, ২০২৪

বাগেরহাট প্রতিনিধি :
বাগেরহাটে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকদের মাঝে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ কোটি ১৪ লক্ষ ৬২ হাজার ৮০৭ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (০৮ জুন) দুপুরে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন। এসময়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার মোহাম্মাদ রিজাউল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ শাহিনুজ্জামান, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা রোহান সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ও গনমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দৌড় ঝাপ ও কোন হয়রানী ছাড়া নগদ টাকার চেক হাতে পেয়ে ভুক্তভুগীরা অনেক খুশী। সরকার ও জেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তারা।
ক্ষতিপূরণ পাওয়া মোঃ মুজিবুর শেখ বলেন, ২ কোটি ৫৮ হাজার ১৪৪ টাকার চেক পেয়েছি। সরকার জমি নেওয়ায় কিছুটা কষ্ট পেয়েছিলাম। কিন্তু কোন প্রকার ঘুষ, সুপারিশ ও ঝামেলা ছাড়া আজ ক্ষতিপূরণের টাকার চেক পেয়ে অনেক খুশি হয়েছি। জমি হারানোর কষ্ট ভূলে গেছি। জেলা প্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
মাতেমা বেগম নামের এক নারী বলেন, আগে শুনেছি অধিগ্রহনের টাকা পেতে অনেক ভোগান্তি হয়। আজ সে ধারণা মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। যেসব কাগজপত্র চেয়েছে অফিস থেকে আমি সেসব কাগজ পত্র দিয়েছি। আজ বাড়ি থেকে ডেকে এনে আমাকে চেক দিল, খুব ভাল লাগছে আমার।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানায়, এদিন শরণখোলা উপজেলার ৩৫/১ এ উপকূলীয় বেড়িগবাঁধ, খানজাহান আলী বিমানবন্দর , খুলনা-মোংলা রেল লাইন, মোংলা বন্দরের ড্রেজিং ও ঢাকা এ্যান্ড ওয়েস্টার্ন জোন ট্রান্সমিশন গার্ড এক্সপ্যানশন প্রজেক্টের জন্য জমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ৪০ জন মালিকের হাতে ৫ কোটি ১৪ লাখ, ৬২ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, আমরা চাই জনগণের সেবা দিতে। জনগণ তাদের জমি সরকারের উন্নয়ন কাজে দিয়ে যদি ভোগান্তিতে পরে, এর থেকে কষ্টের কিছু নেই। এজন্য তাদেরকে ডেকে আমরা ক্ষতিপূরণের টাকার চেক প্রদান করেছি। অধিগ্রহন সংক্রান্ত কোন কাজ অথবা ক্ষতিপূরণের টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য যদি কোন ব্যক্তি বা কর্মকর্তা ঘুষ দাবি করে তাহলে সরাসরি জেলা প্রশাসককে জানানোর অনুরোধ করেন তিনি।rj

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *