শনি. এপ্রি ২০, ২০২৪

বাগেরহাট প্রতিনিধি।
বাগেরহাটের পৃর্ব-সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা উপজেলার একটি গ্রামে প্রায় প্রতিরাতেই বণ্য শুকরের দল ঢুকে পড়ছে। দলবাধা শত শত শুকর বন থেকে লোকালয়ে এসে গ্রামবাসীর ধান ওসবজী ক্ষেত নষ্ট করছে। এতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে উপজেলার ধানসাগর গ্রামের সাধারন কৃষকরা। কৃষকদের অতিকষ্টে চাষ করা আমন ধান ও সব্জি ক্ষেত বিনষ্ট করার বিষয়টি বন বিভাগ কে জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ ধানসাগর ইউনিয়নের ধানসাগর টগড়াবাড়ী এলাকার কৃষকরা রবিবার বিকেলে জানান, সম্প্রতি সময়ে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর ষ্টেশনের বন থেকে গভীর রাতে বনসংলগ্ন সরু ভোলা খাল সাতরে দলবেধে বণ্য শুকর গ্রামে ঢুকে পড়ছে। শুকরের পাল তাদের পাকা আমন ধান ও সব্জি কলাকচু ক্ষেত সাবাড় করছে। ধানসাগর টগড়াবাড়ী গ্রামের কৃষক আফজাল হাওলাদার, আমিন চৌকিদার, নয়ন মিয়া ও খাদিজা বেগম বলেন, বণ্য শুকর তাদের বিপুল পরিমাণ জমির আমন ধান বিনষ্ট করেছে। শুকরের হানায় ধান নষ্ট হওয়ায় তাদের প্রয়োজনীয় সারা বছরের খাবার সংকট দেখা দিবে বলে এসব কৃষকরা অভিযোগ তোলেন। ধানসাগর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ তোফাজ্জল হোসেন বণ্য শুকরের উপদ্রবে গ্রামের কৃষক ও সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ জানিয়ে বলেন, সুন্দরবন থেকে রাতের আধারে আসা বণ্য শুকর ধান ক্ষেতসহ গ্রামের শাকসব্জি কলা কচু খেয়ে ক্ষেত সাবাড় করছে। ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম টিপু বলেন, অনেকদিন ধরে সুন্দরবন থেকে শুকর লোকালয়ে এসে ধান ক্ষেতসহ গ্রামের সব্জি ক্ষেত নষ্ট করছে। বিষয়টি বনবিভাগকে জানানো হয়েছে। বণ্য শুকর না মারার জন্য গ্রামবাসীদেরকে বলা হয়েছে বলে চেয়ারম্যান জানান। এ বিষয়ে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সুন্দরবন থেকে শুকরসহ বণ্যপ্রাণী লোকালয়ে প্রবেশ ঠেকাতে বনরক্ষী, সিপিজি ও ভিটিআরটি সদস্যরা যৌথভাবে কাজ করছেন। এ ছাড়া ভবিষ্যতে যাতে বণ্যপ্রাণী লোকালয়ে যেতে না পারে সে জন্য স্থায়ীভাবে লোকালয়ের কাছে সুন্দরবনের সীমানায় নাইলনের ফেন্সিং বেড়া দেওয়ার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।#az

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *