বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন সুন্দরবনের দুবলাসহ বিভিন্ন চরের উৎপাদিত শুটকি থেকে ৪ কোটি ১৮ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা আয় করেছে সরকার। যা গত বছরের থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা বেশি। তবে মৌসুমের শুরুতে কয়েক দফা ঝড় বৃষ্টিতে মাছ নষ্ট না হলে রাজস্বের পরিমান পাঁচ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেত বলে দাবি করেছেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন। বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এই মৌসুমে ৬ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন শুটকি উৎপাদন হয়েছে। ০১লা নভেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত শুটকি আহরণে নিয়োজিত জেলে ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৪ কোটি ১৮ লক্ষ ৬৯ টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ। ২০২০-২১ সালে এই রাজস্বের পরিমান ছিল ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। এদিকে পাঁচ মাস সমুদ্রে মাছ আহরণের পরে চরে শুটকি তৈরির কাজে নিয়োজিত জেলেরা বন বিভাগের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে শুটকি আহরণ মৌসুম শেষ করেছেন। সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, গত বছরের থেকে এবার শুটকির উৎপাদন যেমন বেশি হয়েছে, রাজস্বও তেমনি বেশি হয়েছে। ৩১ মার্চ পর্যন্ত আমরা ৪ কোটি ২৮ লক্ষ ৬৯ হাজারা টাকা রাজস্ব আদায় করেছি। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় এক কোটি টাকা বেশি। আশাকরি আগামীতেও রাজস্বের পরিমান বৃদ্ধি পাবে। উল্লেখ্য, প্রতিবছর নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন দুবলা, আলোরকোল, মেহেরআলী চরসহ কয়েকটি চরে পলিথিন, কাঠ ও খড় দিয়ে অস্থায়ী তাবু করে বসবাস করেন জেলেরা। এই পাঁচ মাস প্রায় ১৫ হাজার জেলে সমুদ্রে মাছ আহরণ করেন।
tn