নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সন্তান কমান্ড এর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী,

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সন্তান কমান্ড এর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী,

।সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির সমন্বায়কারী ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ১১ টি সংগঠনের নেতৃ্বৃন্দ সহরোওয়ার্দী উদ্যান ঢাকা। বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ১১ টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই দিবসটি উদযাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের মাধ্যমে কর্মসূচী সফল করায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই আয়োজন সফল করতে অনিচ্ছাকৃতভাবে যদি কারো মনে কোন কষ্ট দিয়ে থাকি বা পেয়ে থাকেন তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনরোধ জানান সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান।

যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন ১৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার ২০২২ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে আওয়ামী লীগ সরকারই সবসময় কাজ করেছে এবং করছে। অন্যরা যখন ক্ষমতায় ছিল শুধু লুটপাট করেছে। তিনি বলেন,‘বীর মুক্তিযোদ্ধারা এখন ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এ ছাড়া অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ত্রিশ হাজার বীর নিবাস নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে  গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার ২০২২

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিনামূল্যে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন উল্লেখ করে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, জেলা, উপজেলাসহ দেশের বিশেষায়িত হাসপাতালসমূহে চিকিৎসা, ওষুধ, টেস্ট যা প্রয়োজন তার সবই বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এখনও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমরা আজ শপথ নিচ্ছি সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ঐক্যবদ্ধ করে তাদের এই ষড়যন্ত্র রুখে দেব।’ মোজাম্মেল হক বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নস্যাৎ করার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণের জায়গায় শিশু পার্ক নির্মাণ করেছিলেন। তিনি বলেন‘আমরা ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নির্দিষ্ট স্থান মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার হিসেবে সংরক্ষণ করতে চাই। যেখানে মানুষ গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারবে। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব স্থানে যুদ্ধ হয়েছিল, সেসব স্থান সংরক্ষণ করছি। বধ্যভূমিগুলোও সংরক্ষণ করছি। এ ছাড়া যদি কোন মুক্তিযোদ্ধা মারা যান তাদের একই রকম ডিজাইনের কবর দেয়া হবে, যেন ৫০ বছর পরেও একটি কবর দেখে বোঝা যায়, এটি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর।’ বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রশাসক ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক মো. জহুরুল ইসলাম রোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শাজাহান খান এমপি, অনুস্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন মেহেদী হাসান সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটি ঢাকা-২০ এর সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম.এসপি মাহবুবুর রহমান বীরবিক্রম, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদির গামা, বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজির আহম্মেদ এমপি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঢাকা মহানগর কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহমদ , মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম রেজাসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা গন ও সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২ সহরোওয়ার্দী উদ্যানে সকাল ১০.০১ মিনিটে শিখা চীরন্তনীতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন করেন মাননীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড: আ,ক,ম মোজাম্মেল হক এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহম্মেদ এমপি, মাহবুব উদ্দীন বীরবিক্রম ( এসপি মাহবুব), বাংল্দেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সীল এর সাবেক নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সীল এর প্রশাসক জহুরুল ইসলাম রোহেল ( মহাপরিচালক জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল), ঢাকা জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ মিয়া, মহানগর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আমীর হোসেন মোল্লা, নরসিংদী কমান্ডার আব্দুল মোত্তালিব পাঠান সহ বিভিন্ন উপজেলা কমান্ডারগন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ।